বই : পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার

মূল্য :   Tk. 500.0   Tk. 400.0 (20.0% ছাড়)
 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার বইটির লেখকের কথা:

১৯৯৬-'৯৭ সালে যখন এই বইটি লিখি তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। চুক্তিটি আদৌ স্বাক্ষরিত হবে কিনা, কি কি শর্তে হবে তা নিয়ে ছিল সন্দেহ- সংশয়।

এই চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিচ্ছিন্নতাবাদ পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

আজ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল স্তরে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছ, রাস্তা-ঘাট হয়েছে, পর্যটন সুবিধা অবারিত হয়েছে। এসব এই বইটি লেখার সময় কল্পনাও করা যেতো না।

যেভাবে আজকের প্রজন্ম হয়তো কল্পনাও করতে পারবে না কিভাবে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে সীমিত সামর্থ্যে প্রায় চব্বিশ বছর দুর্গম এলাকায় যুদ্ধ করেছে। কেউ হয়তো আর এটা মনে রাখতে চান না যে একসময় আমাদের দেশের একটি বৃহৎ অঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিল।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে শুধু যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা সরকারকেই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তা নয়, বরং লাখ লাখ উপজাতিকে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। সেখানে নিহত হয়েছে বাঙালি, উপজাতি- সবাই। ঘরবাড়ি পুড়েছে সকলের।

এ ছিল এক অমানিষার কাল। এখন যারা মনের আনন্দে সাজেকে ঘুরতে যান তাদের সেই সুযোগটি এসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশের অমোঘ সামর্থের মধ্য দিয়ে।

সেই ১৯৯৬ সালে আমি যখন একটি সাংবাদিক প্রতিনিধিদলের সাথে সাজেকে গিয়েছিলাম তখন আমাদের যেতে হয়েছিল বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে। সেখানে একটা বিডিআর পোস্ট ছাড়া আর কিছুই ছিল না। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর কোন পেট্রোল দলকে থানচি যেতে পাহাড় পর্বত ডিঙ্গিয়ে সময় লাগতো প্রায় তিন দিন। আজ সেসব শুধুই স্মৃতি।

পৃথিবীর খুব কম দেশেই বিচ্ছিন্নতাবদী আন্দোলন সাফল্যের সাথে কোন যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে পেরেছে। কলম্বিয়ার ফার্ক গেরিলাদের আজো লক্ষ্য পুরণ হয়নি, সেদেশের সরকারও তার কোন সমাধানে আসতে পারেনি। অন্যদিকে শ্রীলংকায় অত্যন্ত সফলতার সাথে এল টিটি ই গেরিলাদের সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করতে পেরেছে সেদেশের সেনাবাহিনী।

আবার বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদ পাকিস্তানে চলছে বছরে পর বছর। বাংলদেশ সেনাবাহিনী নির্দ্বিধায় দাবী করতে পারে যে তারা কঠোর পরিশ্রম করে, ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে সরকারকে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে পেরেছে।

আমরা এও ভুলে যেতে পারিনা যে এই পার্বত্য চট্টগ্রামে যুদ্ধ করে স্বাধীনতার পর একমাত্র অপারেশনাল বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছে শহীদ লে. মুশফিক। চলতি সংস্করনে কিছু নতুন ছবিও যোগ করা হয়েছে পূর্ববর্তী সংস্করণের ছবির সাথে।

বইয়ের নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার
লেখক আবু রূশদ  
প্রকাশনী বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল পাবলিশিং
সংস্করণ নতুন সংস্করণ, ২০২৩
পৃষ্ঠা সংখ্যা
ভাষা বাংলা

আবু রূশদ