মানসুর হাল্লাজ [রহস্যঘেরা এক মহামানব]
মনসুর হাল্লাজের হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় হাজার বছর আগে। তদুপরি সেটা নিয়ে মানুষের জিজ্ঞাসা রয়েই গেছে। এ নিয়ে হরেক রকম মন্তব্য করেছে তারা একেকজন।
সুফিবাদী ঐতিহাসিকেরা তাঁর কারামত ও অলৌকিক ঘটনা নিয়ে লম্বা-চওড়া বয়ান দিয়েছে। আজিব ও অলৌকিক আলোচনা কথা বলেছে তাঁর মৃত্যু নিয়ে। এতে করে তারা কথার খেই হারিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘ করে ফেলেছে আলোচনা। অনেকে তো আকর্ষণীয় গল্পের জাল বুনেছে তাঁকে নিয়ে। বলেছে, তাঁকে শূলে চড়ানোর পর তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ছাইগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে দজলা নদীতে। এই ছাইয়ের বরকতময় পানির প্রতি ঢোক থেকে জন্ম নিচ্ছে বাগদাদের একেকজন সুফিবাদী শাইখ। সৃষ্টি হচ্ছে ইরাকের একেকজন কুতুব।
আসলে হাল্লাজের কথার মাঝে যেমন জাদু ছিল, তেমনই তাঁর জীবনটাও ছিল জাদুময়। মানুষকে অনুপ্রাণিত করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। আবার তাদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্টও করতে পারতেন তিনি। এজন্য আপনি তাঁর সঙ্গ দান করেন বা না করেন, অবশ্যই তাঁকে ভালোবাসতে বাধ্য হবেন।
বইয়ের নাম | মানসুর হাল্লাজ [রহস্যঘেরা এক মহামানব] |
---|---|
লেখক | তহা আবদুল বাকি সুরুর |
প্রকাশনী | নবপ্রকাশ |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 240 |
ভাষা | বাংলা |