নবী ও সাহাবা-যুগে হাদিস সংকলনের ইতিহাস
ইসলামী শরীয়াতের শাশ্বত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রাচ্যবিদ, মডার্নিস্ট ও কুরআনিস্টরা (বা হাদিস অস্বীকারকারীরা) যে দাবি, সংশয় ও আপত্তিগুলো উত্থাপন করে থাকে, তার মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি হলো—নববী যুগে হাদিস সংকলন করা হয়নি; বরং নবীজির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল হাদিস লিখে রাখার ব্যাপারে। তাই নবী ও সাহাবা-যুগে যথাযথভাবে হাদিস সংকলিত হয়নি। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর প্রায় ২০০ বছর পর, হিজরি তৃতীয় শতাব্দীতে এসে বিচ্ছিন্নভাবে হাদিস সংকলন শুরু হয়। তাই এ-অস্বচ্ছতা ও অনিশ্চয়তাপূর্ণ হাদিস শরীয়াতের উৎস বা দলিল হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
বিশুদ্ধ ইতিহাসের আলোকে এ-দাবি, সংশয় বা আপত্তির অসারতা প্রমাণে পাকিস্তানের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মাদ রফী উসমানী রহিমাহুল্লাহ রচনা করেছেন এ-প্রামাণ্য গ্রন্থটি। এখানে তিনি বিতর্ক বা খণ্ডনমূলক জবাব-পাল্টাজবাবের পরিবর্তে ইতিবাচক পদ্ধতিতে হাদিস সংরক্ষণ ও সংকলনের ঐতিহাসিক তথ্যগুলো একত্রিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের ওপর ভিত্তি করে বিশুদ্ধ ইতিহাসের আলোকে নবী-যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত যেসব শক্তিশালী উপায়ে হাদিস সংরক্ষণ হয়েছে এবং এর জন্য উম্মাহর তারকাতুল্য মনীষীগণ যে-অসামান্য অবদান রেখেছেন, সে-বিস্তৃত ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত সারনির্যাস তিনি তুলে ধরেছেন এ-বইয়ে।
বইয়ের নাম | নবী ও সাহাবা-যুগে হাদিস সংকলনের ইতিহাস |
---|---|
লেখক | মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী |
প্রকাশনী | পেনফিল্ড পাবলিকেশন |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 176 |
ভাষা | বাংলা |