রবের পথে হিজরত
হিজরত : উম্মাহর বিজয়ের সূচনা। যেসকল নবির জীবনে হিজরতের ঐশী আদেশ এসেছে, তা এসেছে চূড়ান্ত পরীক্ষা ও বিজয়ের সূচনা হিসেবে। এই হিজরতের ফলে সূচিত হয় এক মহা বিপ্লবের। আসে ব্যাপক সাফল্য ও রবের সাহায্য।
হজরত ইবরাহিম আ. রবের সন্তুষ্টির জন্য স্বজাতিকে ত্যাগ করলেন; হিজরত করলেন ইরাক থেকে বিলাদুশ শামে, ফিলিস্তিনে। ছিলেন নিঃসন্তান, স্ত্রী ছিলেন বন্ধ্যা। হিজরতের পর আল্লাহ তাআলা দান করলেন নেক সন্তান। তাঁর বংশে দেওয়া হলো নবুওয়াত ও আসমানি কিতাব। এরপর জমিনে যত আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে সবই হয়েছে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সন্তানদের ওপর।
এটি আল্লাহ প্রদত্ত সম্মান ও অপার অনুগ্রহ। কেননা, তিনি তাঁরই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজ ভিটেমাটি ও স্বজন-পরিজনকে ত্যাগ করেছেন। এমন ভূমির দিকে হিজরত করেছিলেন যেখানে নিরাপদে আল্লাহর ইবাদত করা যায় এবং দেওয়া যায় তাঁর পথে মাখলুককে দাওয়াত।
এই ধারায় হিজরত করেছেন আল্লাহর বহু নবি-রাসুল। সকলের হিজরতের অক্লান্ত কষ্টের মাঝেই লুকিয়ে ছিল প্রাপ্তির সু-সংবাদ আর বিজয়ের সূচনা। নিহিত ছিল ইবাদাতের স্পৃহা আর ইমানের তেজসহ আরো অসংখ্য হিকমাহ।
এই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এলেন রহমতের নবি, আখিরি নবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নবিজিকে দেশান্তরে বাধ্য করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর একমাত্র আল্লাহর হুকুমে আদিষ্ট হয়েই তিনি মদিনার পথে হিজরত করেন। আর হিজরতের এই ঐশী হুকুম ও মহান ইবাদত পালনের মধ্য দিয়ে পদে পদে নেমে আসে রবের গায়িবি মদদ।
দেশত্যাগের এই বিধান একটি সাময়িক রণকৌশলও বটে- এর পালনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন ও সশস্ত্র যুদ্ধে তাগুতি শক্তির মোকাবিলার শুভ সূচনা হয়, উদিত হয় মক্কা বিজয়সহ ইসলামের বিশ্বজয়ের রঙিন সূর্য।
বইয়ের নাম | রবের পথে হিজরত |
---|---|
লেখক | আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুল আশরাফ |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 160 |
ভাষা | বাংলা |