সামাজিক শিষ্টাচার
প্রসঙ্গত দ্বীন ইসলামের তৃত্বীয় বিভাগ অর্থাৎ, মুয়ামালাতের সঙ্গেও মুয়াশারাতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এ দু’টি বিভাগই মানুষের পারস্পরিক সম্পকের সঙ্গে যুক্ত। তাই এ দিক দিয়ে বিচার করলে এ স্থানেও মুয়াশারাতের গুরুত্ব মুয়ামালাতের থেকে বেশি হওয়া দরকার। সেটি হলো, সাধারণ মানুষেরা না হোক আলেম-ওলামায়ে কেরাম মুয়ামালাতকে দ্বীনের বিভাগ মনে করেন; কিন্তু আলেম- ওলামা-এর সকলে মুয়াশারাতকে দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন না। তাদের মধ্যে বিশেষ কেউ দ্বীনের বিভাগ মনে করলেও মুয়ামালাতের সমপর্যায়ের মূল্যায়ন করেন না। ফলে কার্জক্রমে তাদের থেকে এ আমলের উপর অনিহা প্রকাশ পায়।
আর দ্বীনের পঞ্চম বিভাগ আখলাকে বাতেনীর ইসলাহ তথা আত্মশুদ্ধি তো ফরজ ইবাদতের সমপর্যায়ের। সুতরাং মুয়াশারাত (যে অর্থে ফরজ ইবাদত থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই অর্থেই) আত্মশুদ্ধির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
মোটকথা, তুলনামূলক বিচারে এটা সাব্যস্ত হয়, কোনো কোনো দিক থেকে মুয়াশারাত বিভাগটি দ্বীনের অন্যান্য বিভাগ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রগণ্য। তা সত্ত্বেও সাধারণের কথা না উঠানোই শ্রেয়, বিশিষ্ট লোকদের ভেতরেও অতি-নগণ্য সংখ্যা লোকই এ বিষয়ের গুরুত্ব বুঝলেও কার্যত শিথিলতা প্রদর্শন করেন। কেউ কেউ নিজে এর উপর আমল করলেও অন্য মানুষকে এর প্রতি উৎসাহিত করতে কদাচিৎ। দেখা যায়। তাই থানভী রহি, তার জীবদ্দশায় এ বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেন।
বইয়ের নাম | সামাজিক শিষ্টাচার |
---|---|
লেখক | হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. |
প্রকাশনী | ফুলদানী প্রকাশনী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, নভেম্বর ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 64 |
ভাষা | বাংলা |