রাসোমন
সভ্যতার শুরু থেকেই চলে আসছে গল্প। কিছু গল্প হয় কালজয়ী আর কিছু গল্প হারিয়ে যায় কালের আবর্তে। জাপানের আধুনিক ছোটগল্পের একজন পথিকৃৎ রিয়ুনোসুকে আকুতাগাওয়ার গল্পগুলো প্রথম পর্যায়ের। প্রকাস ভঙ্গীর নতুনত্বে তাঁর অমর সৃষ্টি “রাসোমন” সহিত্যে পরিচিতি অর্জন করেছে প্রায় শুরু থেকেই। আর সেটা আরও ব্যাপকভাবে সম্ভব হয়েছে, চলচ্চিত্র নির্মাতা আকিরা কুরোসাওয়ার মাধ্যমে। “রাসোমন” ও “বাঁশবনে খুন” গল্পদুটি থেকে রসদ নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন কালজয়ী সিনেমা রাসোমন, যা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে কুরোসাওয়াকেও পরিচিত করেছে বিশ্বের কাছে।
এই বইয়ের গল্পগুলো পাঠকের মনে বেশ ঘোর লাগায়; সত্য ও নৈতিকতার সুরুকসন্ধানে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষকে রুখে দাঁড়াতে সাহস যোগায়। লেখকের কাব্যিক শৈলীর স্পর্শে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গল্পের পুরো পেক্ষাপট। লেখক নিজে কোনও উপসংহার টানেন না, বরং চান পাঠকই ভেবে নিক গল্পের পরিণতি। আকুতাগাওয়ার এই প্রয়াসকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পরিচিত করার জন্য গল্পগ্রন্থটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন খালিকুজ্জামান ইলিয়াস।
“রাসোমন,” “বাঁশবনে খুন,” “কেসা ও মরিতো,” “মাকড়শার জাল,” “পায়েস,” “ড্রাগন,” এবং “শহীদ”–এই সাতটি গল্পের সমাহারে সাজানো হয়েছে এই সংকলন।
বইয়ের নাম | রাসোমন |
---|---|
লেখক | রিয়ুনোসুকে আকুতাগাওয়া |
প্রকাশনী | নটিলাস প্রকাশনী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, নভেম্বর ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 160 |
ভাষা | বাংলা |