প্রোগ্রামিং এসেনশিয়ালস
প্রোগ্রামিং একটি শৈল্পিক ব্যাপার, বিনোদনের অপর নাম। এর অমৃতসুধা পান করতে হলে হৃদয়ে থাকা চাই আগ্রহ ও তীব্র ভাবাবেগ। কিন্তু বিভীষিকাময় একাডেমিক জীবন আমাদের দেশে প্রোগ্রামিংকে চিরতার মত তিক্ত করে তুলেছে। অপরদিকে, হাতুড়ে ডাক্তারদের প্যারাসিটামল ত্বত্ত প্রোগ্রামিংকে করে তুলেছে গোলকধাঁধার মত। আর সিনট্যাক্সের গ্যারাকল? সে যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা। প্রোগ্রামিং শেখা হওয়া উচিত সহজ, সরল ও আনন্দদায়ক। একটা কাজের সাথে যখন আনন্দ যোগ হয়, তখন সেই কাজটা আমাদের মস্তিষ্ক অনেক দ্রুত গ্রহণ করতে পারে। এমনিতে পাইথন খুবই সহজবোধ্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কিন্তু শেখার মাধ্যমটাও তো মজার হওয়া চাই। এই দিকটাতেই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে এই বইয়ে।
এ কোন পাঠ্য বই নয়, এ হচ্ছে প্রোগ্রামিং নিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের জন্য লেখা এক রহস্যোপন্যাস। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রোগ্রামিংয়ের অপার সৌন্দর্য আর নিগুঢ় রহস্যের হাতছানি। এবার শুধু সমাধান করতে হবে সেই রহস্যের। বইটি কাদের জন্য?
• আমরা যারা পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী।
• আমরা যারা প্রোগ্রামিংয়ের ‘প’ও পারি না কিন্তু শিখতে চাই।
• আমরা যারা নিশ্চিত হয়ে গেছি এই ইহকালে আর যাই হোক প্রোগ্রামিংটা শেখা সম্ভব না।
• আমরা যারা প্রোগ্রামিং পারি কিন্তু পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজটা পারি না।
• আমরা যারা পাইথন শিখতে চাই।
বইটি কাদের জন্য নয়?
• আমরা যারা পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী নই।
• আমরা যারা কম্পিউটারের মৌলিক ব্যবহার জানিনা।
• আমরা যারা ইতিমধ্যেই পাইথনের সবকিছুই পারি।
বইটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
• বইটি পড়ার সময় আমরা প্রতিটা টপিক বুঝে পড়ব, মুখস্থ করার দরকার নাই।
• বইটির চাপ্টারগুলো আগে-পরে করে না পড়ে ধারাবাহিকভাবে পড়ব আমরা। কারণ বোঝার সুবিধার জন্য অনেক বিষয় প্রথম দিকের চাপ্টারগুলোতে স্কিপ করে গিয়ে পরে বিস্তারিত বোঝানো হয়েছে।
• প্রোগ্রামিং হল হাতে কলমে করার জিনিস। তাই প্রতিটা উদাহরণ নিজে নিজে রান করে দেখব।
• প্রোগ্রামিং হল চর্চা করার জিনিস। তাই প্রতিটা টপিকে দেয়া সমস্যাগুলো নিজে নিজে চর্চা করব।
বইয়ের নাম | প্রোগ্রামিং এসেনশিয়ালস |
---|---|
লেখক | মাকসুদুর রহমান মাটিন |
প্রকাশনী | অদম্য প্রকাশ |
সংস্করণ | 1 |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 132 |
ভাষা | বাংলা |