রমাদান কারীম
রমাদান বিরাট এক জাহাজের মতো। গুনাহের সাগরে ডুবে থাকা বান্দাকে উদ্ধার করে মুক্তির বন্দরে পৌঁছে দিতে প্রতিবছর ঘাটে এসে নোঙ্গর ফেলে। রমাদানে নেক আমল বেশি করতে না পারলেও অন্তত বদআমল যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখব। রমাদান রহমতের মাস। এ বিষয়টা রমাদান এলেই টের পাওয়া যায় । অনুভব করা যায়। উপলব্ধি করা যায়।
রমাদানে কত কী যে হয়। প্রত্যেকটা বিষয়ই আলাদা আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে। চাঁদ দেখা থেকে শুরু হয়। এরপর একে একে আসে তারাবিহ পড়া, সাহরি খাওয়া ও ইফতার করা। এই তিনটা হলো মৌলিক কাজ, আলোচিত কাজ। এরপর আসে, শেষ দশকে ইতেকাফ। বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের অন্বেষণ। এরপর ঈদের চাঁদ। ঈদের আগে সদকাতুল ফিতর আদায়।
প্রতিবারেই নিয়ত করি, এবার রমাদানে একটা গুনাহও করব না; রাস্তায় বের হলে হারামের দিকে তাকাব না; কারো গীবত করব না; কোনো রকমের পাপচিন্তা করব না; পুরো বছরে অনেকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি; এমনটা আর করব না; কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই কী থেকে কী হয়ে যায়, কোনো প্রতিজ্ঞাই টিকে থাকে না। তারপরও আশায় বুক বাঁধি ।
বইয়ের নাম | রমাদান কারীম |
---|---|
লেখক | মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুল আযহার |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৩ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 144 |
ভাষা | বাংলা |