কখন মা হবেন
ভূমিকা
শিশুকালে পুতুল খেলার সময়ে মেয়েদের মনে মাতৃত্বের উন্মেষ ঘটে। এ মাতৃত্ববোধ অবচেতনে লালিত হতে থাকে তার আশা-আকাঙ্ক্ষায়। তারপর দিন গড়িয়ে একসময় সেই ছোট্ট মেয়েটি হয়ে ওঠে একজন পরিপূর্ণ নারী। আসে সেইদিন, যখন সে তার স্বপ্নপুরুষের হাত ধরে প্রবেশ করে সংসার নামের নিজের জগতে। প্রাকৃতিক নিয়মে, ভালোবাসার পরিণতিতে, এক সময় সে গর্ভধারণ করে। দীর্ঘ নয় মাস দশ দিনের গর্ভাবস্থা পেরিয়ে পৃথিবীর আলোতে আসে একটি নতুন প্রাণ, নতুন অস্তিত্ব। এ সমেয়েই ঘটে একজন নারীর মাতৃত্বের পূর্ণ বিকাশ। মাতৃত্ব পাওয়ার ব্যাপারটা যেমন অতুলনীয় এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি, অন্যদিকে তা বেশ জটিল একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। মাতৃত্বের সুখানুভূতি কেবলমাত্র তখনি পাওয়া সম্ভব, যখন পুরো গর্ভাবস্থা সুস্থ থেকে জন্ম দেয়া সম্ভব হয় একটি সুস্থ সবল শিশু। এর জন্যে দরকার সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা। আমাদের দেশের অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে প্রতি বছর অসংখ্য মহিলা গর্ভজনিত তথা প্রসবকালীন নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং এই কারণে জন্মের পরে মারা যায় অসংখ্য শিশু। অথচ গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা, শিশুর জন্মদান রহস্য এবং গর্ভপাতের কারণ সম্পর্কে একটু সচেতন হলেই এসব মায়ের অনেককেই বাঁচানো সম্ভব। এ উদ্দেশ্যই আমাদের প্রকাশনা ‘কখন মা হবেন’। এতে মহিলাদের গর্ভধারণের বিভিন্ন দিক, গর্ভাবস্থায় নানা সমস্যা ও তার প্রতিকার বিষয়ে যথাসম্ভব আলোচনা করা হয়েছে। এ বই সম্পর্কে পাঠকের যে কোন উপদেশ ও পরামর্শ সাদরে গৃহিত হবে। [যোগাযোগেরে ঠিকানা : ডা. সুমন চৌধুরী, ঢাকা চিলড্রেন হসপিটাল লি:, রোড-৮/এ, বাসা-৫৯, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।] এ বইয়ের সার্বিক পরিকল্পনা ও সম্পাদনার ব্যাপারে যাঁরা নানাভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন তাঁদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
বইয়ের নাম | কখন মা হবেন |
---|---|
লেখক | ডা. সুমন চৌধুরী |
প্রকাশনী | অনন্যা |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |