গণিত ভাবনা ও সাইকোম্যাট্রিক্স
অনেক বছর পেরিয়ে গেল আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু আমরা কতটুকু তা অনুধাবন করতে পেরেছি? শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারলেও এর মৌলিক বিষয় না জানা থাকলে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। যা পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে না।
জ্যামিতিতে বৃত্তের ক্ষেত্রফল এবং পরিধি বের করার জন্য পাই-এর মান এর ব্যবহার করা হয়, পাই-এর মান ব্যবহার করে আমরা অনেক জটিল জটিল গণিত সমাধান করে যাচ্ছি কিন্তু অধিকাংশ গণিতের শিক্ষার্থীরাই পাই কী জিনিস জানে না। এটা খুবই দুঃখজনক। “পাই কী” প্রশ্নের বিপরীতে আমি যে ধরনের উত্তর পেয়েছি তা হলো “পাই হলো ৩.১৪১৬”, “পাই হলো বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র” ইত্যাদি ইত্যাদি... কিন্তু অধিকাংশই বলতে পারে না যে পাই হলো বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত যা সকল বৃত্তের জন্য একই থাকে ।
তারপর আমি সবচেয়ে সহজ একটি গণিতের প্রশ্নে বেশি অবাক হই যখন তাদের কাছে জানতে চাই প্লাস এবং প্লাসের গুণফল হয় প্লাস, মাইনাস এবং মাইনাসের গুণফলও কেন প্লাস হয়? (আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় মাইনাস হওয়ার কথা)। তখনো তারা বলে এটা সূত্র।
কিন্তু এই চিহ্নগুলো বীজগণিতের খুবই মৌলিক বিষয়, যেগুলো সম্পর্কে ভেতর থেকে জানা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। এই অনুভূতি থেকেই আমার এই বইটি লেখা যেখানে এরকম অনেক মৌলিক বিষয় নিয়ে সহজ সাবলীল ভাষায় আলোচনা করেছি। আর বুঝে পড়াশোনার মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয়টি যা আমি অনুভব করেছি তা হলো এতে ছাত্রদের কাছে পড়াশোনাটা বোঝা মনে হবে না। তাদের মধ্যে গণিত নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হবে। কোনো কিছুতে আগ্রহ জন্ম না নিলে শত শৃঙ্খলা অনুসরণ করলেও তাতে বেশিদূর যাওয়া যায় না। আর মুখস্থ করা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে কাজে আসে কিন্তু বিজ্ঞান এবং গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে মুখস্থ করা আর নকল করা প্রায় একই বিষয়। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের গণিতবিদ পিথাগোরাস, ইউক্লিডদের মতো করে আজ একুশ শতকেও তাদের মতো সৃজনশীলতায় ফিরে যেতে চাই।
-প্রকৌশলী এমডি. আমিনুল ইসলাম রানা
সজীব চন্দ্র তালুকদার
বইয়ের নাম | গণিত ভাবনা ও সাইকোম্যাট্রিক্স |
---|---|
লেখক | সজীব চন্দ্র তালুকদার প্রকৌশলী এমডি. আমিনুল ইসলাম রানা |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 112 |
ভাষা | বাংলা |