ক্ষমতা
সামাজিক গতিবিদ্যার মূলচাবি মার্ক্স খুঁজে পেয়েছেন সম্পদে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড অনুসন্ধান করেছেন যৌনতায়, বার্ট্রান্ড রাসেল অনায়াসে এবং বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এটা আবিষ্কার করেছেন ক্ষমতায়। এই বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ সালে তখনই সবাই উপলব্ধি করেছেন যে সরকার সম্পর্কিত যে সুপ্রাচীন সমস্যা বিদ্যমান তা পুনরায় বুঝতে হলে এটি পড়া দরকার।
লেখক বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন ক্ষমতা কি কি রূপ ধারণ করে সাধারণের নজর কাড়তে পারে, এর বিভিন্ন অঙ্গের সীমাবদ্ধতা এবং মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাখ্যা করেছেন আর বলেছেন ক্ষমতা বশীকরণের জন্য কেমন আদর্শ এবং নৈতিক বিধি কার্যকর হতে পারে। সবশেষে তিনি জোর দিয়েছেন এই উপলব্ধির উপর যে, আজকের দিনে ক্ষমতা বশীকরণের বিকল্প থাকতে পারে না। কারণ ‘বিজ্ঞান অনিবার্য করে তুলেছে যে আমরা সবাই বাঁচবো, অথবা সবাই মরবো।’
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে হ্যারল্ড নিকলসন লিখেছিলেন, সকল চরমপন্থা সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার জন্য আমাদের সকলের এ বইটি পড়া দরকার। রাজনৈতিক তত্ত্ব বিষয়ে যারা হতাশার গহন আঁধারে দিশাহীন তারাও এটি পড়ে আশার আলো দেখতে পাবেন।
বইয়ের নাম | ক্ষমতা |
---|---|
লেখক | আরশাদ আজিজ বার্ট্রান্ড রাসেল |
প্রকাশনী | অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০১১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 191 |
ভাষা | বাংলা |