তালেবান ও আফগানিস্তান
আইসেনহাওয়ারের আমেরিকা লুটেরা সাম্রাজ্যের নায়ক হয়ে হাজির হয়। দুনিয়ায় আমেরিকার অপরের সম্পদ দখল আর সিআইএ পাঠিয়ে ক্ষমতাদখলের রাজত্ব শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সাল থেকে।
তাই ১৯৭৯ সালে ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনীকে জেগে উঠতেই হয়। তার নেতৃত্বে ইরানে বিপ্লব সংগঠিত হয়। আর এতে এক নয়াযুগ, এক গ্লোবাল ঐতিহাসিক ঘটনার শুরু হয় এখান থেকে। ইরান বিপ্লবে পুরানা সোভিয়েত ইউনিয়ন তার সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যায় যে সেগুলো ইরানি বিপ্লবের ছায়াতে না ভেসে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তান দখল করে বসে মিথ্যা অজুহাতে।
কিন্তু কোল্ড-ওয়ারের সেই যুগে আমেরিকা এটা ঠেকাতে পাকিস্তানকে ব্যবহার করে সোভিয়েতবিরোধী মুজাহেদিন প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠতে পরিকল্পনা ও সহায়তা করে। এতে ১৯৮৯ সালের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়ে গুটিয়ে ফিরে চলে যায়। কিন্তু আফগানিস্তানকে পরিত্যাক্ত ফেলে রেখে যায় আমেরিকা। সেই বিশৃঙ্খল সময়ে নিজ উদ্যোগে যারা হাল ধরতে আফগান সমাজ থেকে সংগঠিতভাবে এগিয়ে এসেছিল, এরাই হলো তালেবান। আর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আমেরিকার আফগান-হামলার আগ পর্যন্ত যারা সরকার গঠন করেছিল, এরাই সেই শক্তি — তালেবান।