কুরআন তিলাওয়াত
হাদীসে তিলাওয়াতের অনেক সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। তাই তো সাহাবায়ে কেরাম কুরআন অনুযায়ী আমল করার জন্য একবার বুঝে বুঝে পড়ে নেওয়াই যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সারাজীবন তিলাওয়াতকে অন্ধের যষ্টি মনে করতেন। কোনো কোনো সাহাবী প্রতিদিন এক খতম তিলাওয়াত করতেন। আবার কেউ দু-দিনে, তিনদিনেও খতম করায় অভ্যস্ত ছিলেন। সপ্তাহে এক খতম করার রীতি তো সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ব্যাপকভাবেই প্রচলিত ছিল। আর বছরে একবার করে খতম করতে না পারা তো ছিল একান্তই দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। এসব আলোচনা থেকে এ কথাই সুস্পষ্ট যে, কুরআনের ব্যাপারে এ কথা বলা একেবারেই সঙ্গত নয়, অর্থ না বুঝে তোতা পাখির মতো শব্দ পাঠ করা নিরর্থক।
আমাদের দেশের কথিত কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ কুরআনকে অন্যান্য গ্রন্থের সঙ্গে তুলনা করে দাবি করেন, না বুঝে কোনো গ্রন্থের শব্দাবলি পড়া ও পড়ানো একেবারেই নিরর্থক ও বৃথা কালক্ষেপণ বৈ কিছুই নয়। কুরআন সম্পর্কে তাদের এই ধারণা নিতান্তই ভুল। কারণ, শব্দ ও অর্থ উভয়টির সমন্বিত আসমানীগ্রন্থের নামই কোরআন। কুরআনের অর্থ বোঝা ও তার বিধি-বিধান পালন করা যেমন ফরয ও উচ্চস্তরের ইবাদত, তেমনিভাবে তার শব্দ তিলাওয়াত করাও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত ও ছাওয়াবের কাজ।
-মাআরেফুল কোরআন : ৬৪
বইয়ের নাম | কুরআন তিলাওয়াত |
---|---|
লেখক | মাওলানা তাহমীদুল মাওলা |
প্রকাশনী | আর.আই.বিডি পাবলিকেশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |