সন্তান লালন-পালনে অভিভাবকের ভূমিকা
সূচিপত্র
* শিশুর জীবন পরিক্রমা
* যেভাবে শিশুদের বিকাশ হয়
* শিশুর ভবিষ্যৎ : অভিভাবকের করণীয়
* শিশুর মনকে বুঝতে হবে
* শৈশবে শিশুর বিকাশ
* শিশুর বিকাশ এবং প্রারম্ভিক শিক্ষা
* অমনোযোগী শিশু
* শিশু-কিশোরের অহেতুক ভয়
* ভাই-বোনে মনোমালিন্য
* শিশুর মুখে বর্ণমালা
* শিশুর বিকাশ
* শিশুর বুদ্ধি ও বুদ্ধির মাপ
* শিশুর প্রথম স্কুলের পড়া
* শিশুর অভ্যাস গঠন
* রান্নাঘরে শিশুর শেখা
* শৃঙ্খলা ও শাসন
* সন্তানকে নম্রতা শেখানো
* শিশুর চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব
* শিশুর মস্তিষ্ক ও অনুভূতি
* শিশুর তোতলামি
* শিশুর ছোটখাটো অপরাধকে প্রশ্রয় না দেয়া
* অমনোযোগী ডানপিটে শিশু
* শিশু বিকাশের বন্ধু-শত্রু
* শশুর সঠিক পর্যবেক্ষণ
* স্কুলে ভালো না করার কারণ
* শিশু-কিশোরদের নিরাপদ সার্ফিং
* দিশেহারা মা-বাবা ও টিনএজার
* সন্তান যখন মাদকে আসক্ত
* শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা বা অটিজম
* সন্তান লালন-পালন মাতা-পিতার মহান দায়িত্ব
* কেস স্টাডি : সন্তানদের সাথে কথা বলা
* এক-চোখা সংস্কার
ভূমিকা
আমাদের মাতৃভূমি এই বাংলাদেশ একটি প্রাথমিক পর্যায়ের উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের জনসাধারণের একটি বড় অংশ অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত। ফলে তাদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক চিন্তার যথাযথ প্রতিফলন হয় না। এমনকি অনেক শিক্ষিত পরিবারেও এ ধরনের চর্চা পরিচালিত হয় না। এ কথা আমাদের এখন মেনে নিতে হবে যে মানব সন্তান আমাদের জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই তাদের যথাযথ বিকাশের জন্য তাদের প্রতি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সঠিক ব্যবহার চাই। বিশেষ করে ‘শিশু মনোস্তত্ত্ব’ ও ‘বিকাশ মনোস্তত্ত্ব’-এর জ্ঞান সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জরুরি। তবে সব সময় এ ধরনের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান জনসাধারণের মধ্যে থাকে না। এসব কারণ বিবেচনা করেই এই বইটি লেখা হয়েছে।
বইটিতে মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব, জ্ঞান, উপাত্ত অনুযায়ী শিশুদের সঠিক প্রক্রিয়ায় লালন-পালনের জন্য উপদেশনা দেয়া হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি শিশুই তার বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। তাই তাদের প্রত্যেকের বিশেষত্ব অনুযায়ী তার প্রতি আচরণ করতে হবে। এই বইটির উপদেশনার আলোকে সন্তান লালন-পালনই প্রত্যাশিত বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। বইটির লেখার ধরন-ধারণ অতি সহজ করে করা হয়েছে। যাতে সাধারণ মাতা-পিতারা এর সবকিছুই সহজে অনুধাবন ও অনুসরণ করতে পারেন। বইটিতে সাধারণের জন্য উপযুক্ত করে লেখার কারণে এবং মুদ্রণ ত্র“টির জন্য কোনো ভুল-ভ্রান্তি থেকে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সে জন্য জানালে কৃতার্থ হব। এসব বিবেচনায় সার্বিকভাবে শিশু লালন-পালনে সঠিক পথ অবলম্বনের জন্য এই বইটি পড়তে মাতা-পিতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইল। এর ফলে সার্বিকভাবে শিশু লালন-পালনে সামান্যও ভূমিকা রাখতে পারলেই লেখক হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করব।
-ড. কাজী সাইফুদ্দীন
বইয়ের নাম | সন্তান লালন-পালনে অভিভাবকের ভূমিকা |
---|---|
লেখক | ড. কাজী সাইফুদ্দীন |
প্রকাশনী | আলেয়া বুক ডিপো |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |