আত্মদর্শনে সুফিবাদ
জালালুদ্দিন রুমি বলেন : ‘স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে । তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।’ তাই বলা যায়, সুফিদর্শনের প্রধান পথ হলো প্রেম। সুফিরা প্রেমের মধ্য দিয়েই স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। মানবমনের গতানুগতিক শক্তিবলে নয়, এক ধরনের প্রগাঢ় অন্তর্দৃষ্টি বা অতীন্দ্রিয় অনুভব শক্তির সাহায্যেই কেবল পরাতাত্ত্বিক ও পারমার্থিক ঐশী জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া সম্ভব। ইসলামের ইতিহাসে এভাবে যারা অতিপ্রাকৃত উপায়ে পরমসত্তা বা আল্লাহর সঙ্গে একাত্মতা অর্জনে নিবেদিত তাঁরা সুফি নামে পরিচিত । এই গ্রন্থে কোনো বিশেষ ধর্মের প্রতি আনুগত্যের আহ্বান জানানো হয়নি। এখানে উপস্থাপিত হয়েছে ধর্মের নান্দনিকতা সর্বোপরি সুফিবাদের সৌন্দর্য ও উদারতা। এই বারতার আলোকেই এখানে দেখানো হয়েছে, সুফিবাদ মানব মিলনের এক উদার জমিন জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়েরই এখানে অবগাহন করা সম্ভব। সুফিবাদ যেমন ইসলামের অন্তর্নিহিত ঐশ্বর্য ও সর্বমানবিকবোধ সঞ্চারে সহায়ক তেমনি বহুত্বের মধ্যে একত্বের অনুসন্ধানেরও সন্ধিৎসা আছে এই গ্রন্থে। সেই সাথে আছে সম্প্রীতি সম্প্রসারণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সাধারণের মর্মমূলে সুফিবাদের সর্বমানবিক বার্তা পৌঁছানোর প্রয়াস ।
বইয়ের নাম | আত্মদর্শনে সুফিবাদ |
---|---|
লেখক | মোহাম্মদ আবদুল হাই |
প্রকাশনী | সূচীপত্র |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |