তাফসীরে হেদায়াতুল কুরআন (০১-০৯ খন্ড)
তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রাহিমাহুল্লাহ-এর অমর কীর্তি । যা আপনাকে কুরআনের অতি নিকটবর্তী করে দিবে ইনশাআল্লাহ ।
মাদানী কুতুবখানা এ মহা মূল্যবান বিখ্যাত তাফসির-এর অনুবাদ ও সম্পাদনা সম্পন্ন করেছে।
وما توفيقي إلا بالله العلي العظيم
তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহ :
১. এতে আয়াতের সাথে মিল রেখে শাব্দিক তরজমা করা হয়েছে।
২. কঠিন শব্দগুলোর শাব্দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
৩. এতে গুরুত্বপূর্ণ শব্দের বিশুদ্ধ তারকিব উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. প্রত্যেক আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আয়াতের তারকিবে কোথাও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি।
৫. এতে সংক্ষেপে কুরআনে কারিমের মর্মকথা উপস্থাপন করা হয়েছে।
৬. এতে অতি কঠিন বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৭. সংশ্লিষ্ট আলোচনাগুলো সাবলীল, শব্দ ও প্রকাশরীতি সাদাসিধে, যা সকলের বোধগম্য।
৮. এতে প্রথমে একটি/দুটি আয়াত উল্লেখ করতঃ শাব্দিক অনুবাদ, পরে আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্ক, তারপর শিরোনাম যুক্ত করে সহজ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা। অতঃপর রেখা টেনে আয়াতের পারিভাষিক অর্থ ও অস্পষ্টার ওয়াজাহত। কোথাও শেষে মুক্তাবাণীও লিখে দিয়েছেন, যা অতীতের আলোচনার প্রাণ হয়ে থাকে।
৯. এতে প্রত্যেক সুরার শুরুতে সুরার নাম, ক্রমিক নম্বর, নুজুল নম্বর, মক্কাবতীর্ণ না মাদানিবতীর্ণ, রুকু ও আয়াতসংখ্যা। তারপর সুরায় আলোচিত প্রধান বিষয়বস্তুসমূহ সারসংক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে।
১০. তাফসিরটি সাধারণ ও বিশেষ শ্রেণী; সকলের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
১১. লেখক আয়াতের যে তাফসির গ্রহণ করেছেন, সেটা সুস্পষ্ট শব্দে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন। পাঠকবৃন্দকে 'আগর-মগর' 'কিল ও কাল' এর নির্জন প্রান্তরে ফেলে যাননি।
১২. তাফসিরটি বর্জনীয় শব্দ, বাক্য ও তারকিব থেকে মুক্ত।
১৩. আধুনিক যুগের চাহিদানুযায়ী এটা সেরা একটি তাফসির।
১৪. সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটা লিখেছেন এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে অর্ধযুগ বিভিন্ন শাস্ত্রের কিতাবাদি অত্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান করেছেন, পাশাপাশি যিনি বিভিন্ন শাস্ত্রের ওপর অর্ধ শতাধিক কিতাবও রচনা করেছেন।
১৫. তরজমা ও তাফসিরের পাঠদানকারী শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমামগণ, তরজমা পাঠকারী ছাত্রবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ সকলে এ থেকে সহজে উপকৃত হতে পারবেন।
১৬. এটা একটি ইলহামি তাফসির। কারণ এটা হজরতুল উসতাজ লিখেননি, বরং আহলে ইলম ও বুজুর্গদের অনুরোধ, পীড়াপীড়ি এবং এক অদৃশ্য ইঙ্গিত ও সুসংবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখেছেন।
১৭. এতে ফিকহি মাসআলাগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮. এতে কঠিন বিষয়ের বোধগম্যে সহজ উদাহরণ টানা হয়েছে।
১৯. ইতিহাস থেকে কিংবা নিজের জীবন থেকে শিক্ষনীয় ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
২০. সর্বশেষ কথা হল; "ইনশাআল্লাহ এই তাফসির আপনাকে কুরআনে কারিমের অনেক নিকটবর্তী করে দেবে।"
২১. এ তাফসিরটির বাংলা সম্পাদনা করছেন একদল বিদগ্ধ তাফসির ও হাদিস বিশারদ ।
২২. এ তাফসির আপনাকে সহজে কুরআন শেখা ও বোঝার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে ।
২৩. এ মহা মূল্যবান তাফসিরটির ভাষান্তর করছেন হযরত মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরি রাহিমাহুল্লাহ -এর কয়েকজন বিশ্বস্ত ছাত্র ও ভক্ত। যারা হযরতের ইলমি সোহবতে ধন্য হয়েছেন ।
আসুন কুরআন পড়ি, কুরআন শিখি, শব্দে শব্দে কুরআনের অর্থ পড়ি । হসহজে কুরআন বুঝতে তাফসিরে হেদায়াতুল কুরআন আপনাকে রাহনুমায়ী করবে ।
বইয়ের নাম | তাফসীরে হেদায়াতুল কুরআন (০১-০৯ খন্ড) |
---|---|
লেখক | মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী রাহিমাহুল্লাহ |
প্রকাশনী | মাদানী কুতুবখানা |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 5400 |
ভাষা | বাংলা |