গল্পে গল্পে চিকিৎসাবিজ্ঞান
চিকিৎসা বিজ্ঞান কথাটি শুনলে মাথায় আসে ওষুধ-পথ্য, কাটা-ছেঁড়া সহ আরো জটিল সব বিষয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান সত্যিই খুবই কঠিন একটা বিষয়। তবে এই চিকিৎসাবিজ্ঞানের জটিলতার ভেতরেও আছে নানান রকমের সব রসালো এবং মজাদার ও রোমাঞ্চকর কাহিনী।
বইটির সূচিপত্রের শুরুতেই যে অধ্যায়টি আছে তার নাম হচ্ছে “স্বপ্নদেবতা মরফিউস”। প্রশ্ন আসতেই পারে গ্রীক পুরাণের এই স্বপ্নের দেবতা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কি করছেন। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই পৌরাণিক চরিত্রকে অমর করে রেখেছেন জার্মান ওষুধ বিজ্ঞানী ফ্রিডরিশ সার্টারনার। পপি ফুলের বীজাধার থেকে কিভাবে তৈরি হলো মরফিন, তার ব্যবহার আর কেনইবা এই ওষুধের নাম মরফিন রাখা হলো সেই ইতিহাস গল্পচ্ছলে আলোচনা করেছেন লেখক এই অধ্যায়ে। পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা জানবো একজন অদ্ভুত মানুষের গল্প যার নাম ছিল জোসেফ কেরি মেরিক। স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নেওয়া মেরিক হঠাৎ করে পরিচয় পেলো দ্যা এলিফ্যান্ট ম্যান নামে। কোন রোগের কারণে এভাবে মেরিকের জীবন বদলে গেলো তার বিশদ আলোচনা করা হয়েছে এই অধ্যায়ে। সর্দি কাশি এমন একটা অসুখ যে অসুখে ভোগেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কত বছর ধরে এই অসুখের শিকার হয়েছে মানুষ। পিরামিডের যুগেও কি তার অস্তিত্ব ছিল? এই সর্দি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে “পিরামিডের মমিও কি সর্দিতে ভুগেছিল?” নামক অধ্যায়টিতে। বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়ের নাম “পাকস্থলী চায়ের পেয়ালার মতো”। ভীষন অসুস্থ এক চাষীকে পরীক্ষা করে দেখা গেলো তার পাকস্থলী চায়ের পেয়ালার মত রূপ নিয়েছে। এমন অদ্ভুত সমস্যা কেন হলো তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এখানে। সাথে আলোচনা করা হয়েছে পাকস্থলী ও পাকস্থলী সংক্রান্ত বিভিন্ন অসুখ এবং তার প্রতিকারের কথা।
এমনই কিছু অদ্ভুত ঘটনা নিয়ে বই “গল্পে গল্পে চিকিৎসাবিজ্ঞান”। বইটি লিখেছেন দন্ত চিকিৎসক ডা. সিকদার নাজমুল হক। পেশায় চিকিৎসক হলেও তিনি লেখালেখির অভ্যাসের দাস। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের তায়েফে একটি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। যারা একটু বিজ্ঞান মনস্ক পাঠক কিংবা চিকিৎসা বিজ্ঞানে আগ্রহী তাদের চমৎকার লাগবে এই বইটি।
বইয়ের নাম | গল্পে গল্পে চিকিৎসাবিজ্ঞান |
---|---|
লেখক | ডা. সিকদার নাজমুল হক |
প্রকাশনী | সূচীপত্র |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |