গুনাহ মাফের উপায়
পানির স্পর্শে লোহায় যেমন জং ধরে, মরিচা পড়ে, গুনাহের ফলেও আমাদের অন্তরে ময়লা জমে, আত্মায় বিরাজ করে পঙ্কিলতা। লোহার মরিচা লোহাকে যেভাবে ভঙ্গুর বানিয়ে দেয়, পাপের আস্তরণ ঠিক একইভাবে আমাদের অন্তরকে করে ফেলে শুষ্ক, শক্ত ও অনুভূতি-শূন্য। কাপড়ে ময়লা জমলে আমরা তা ধুয়ে পরিষ্কার করি। ফেলে দিই না। ক্ষুধা পেলেও আমরা খাবার গ্রহণ করি। ক্ষুধার্ত থাকি না। অথচ গুনাহের বেলায় এর ঠিক বিপরীতটাই আমরা করে থাকি।
আমরা মনে করি, গুনাহ করে ফেললে বুঝি আমাদের আর পরিত্রাণ নেই। অথচ আসমানে যিনি আছেন, তিনি রাহমানুর রাহিম। অপার দয়ার ভান্ডার সমেত তিনি তাকিয়ে আছেন তাঁর কোন বান্দা তাঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছে, তাঁর কাছে আশ্রয় চাইছে, তাঁর কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করছে। তিনি অপেক্ষা করেন অনুতপ্ত হৃদয়ের জন্য, অশ্রুসিক্ত দুটো চোখের জন্য, কাঁপা কাঁপা দুটো হাত আর একটি নত মস্তকের জন্য । অতঃপর তিনি তাদের ক্ষমা করেন।
যেসব উপায় অবলম্বন করলে আমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ হবে, যে আমলগুলো করলে আমাদের আত্মা কলুষমুক্ত হবে—সেসব নিয়েই রচিত হয়েছে ‘গুনাহ মাফের উপায়’।
বইয়ের নাম | গুনাহ মাফের উপায় |
---|---|
লেখক | শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল |
প্রকাশনী | সমকালীন প্রকাশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |