উসূলুল ঈমান
‘আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন, আকাশসমূহ ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছে? তাহলে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ্।’ [সূরা জুমার, ৩৮]
.
ইবনু তাইমিয়াহ রহ. বলেন, ‘মুশরিকরা স্বীকার করত—আল্লাহ্ তাদের সৃষ্টিকর্তা এবং জীবিকা প্রদানকারী; এরপরেও তারা অন্যদের ইবাদত করত।’ [বই: দাসত্বের মহিমা ] এ থেকে শিক্ষা হচ্ছে, আল্লাহকে রব হিশেবে মানাই যথেষ্ট নয়, বরং একনিষ্ঠতার সাথে পূর্ণ দাসত্ব প্রয়োজন। ইবাদতের সবটুকু তাঁর জন্য এবং তাঁর শেখানো পদ্ধতি আলোকে হওয়া প্রয়োজন।
.
আর যেসব মৌলিক বিষয়ে ঈমান রাখা অপরিহার্য সেসবের স্বচ্ছ জ্ঞান ও তাৎপর্য সম্পর্কে গাফেল হলে স্বভাবতই ঈমান হারানোর আশঙ্কা থাকে। যে বক্তি আল্লাহ্কে ‘রিয্কদাতা স্বীকার করে, তার পক্ষে খাওয়া-পরা নিয়ে প্রচেষ্টার অতিরিক্ত ‘পেরেশান’ হওয়া বেমানান। সত্যিকারার্থে ‘আখিরাতে’ বিশ্বাসী কখনও দুনিয়াকে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানাতে পারে না। আর এ জন্যই, বিশ্বাস ও কর্মের এই ফারাকের মূল কারণ, আল্লাহ্কে না চেনা, ঈমান সম্পর্কে অস্পষ্টতা বা এর তাৎপর্য উপলব্ধিতে ব্যর্থতা। কিন্তু ঈমানের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন ব্যক্তির উপর এর বহুবিধ উপকারিতা ও সুফল—কোনো কিছুই গোপন নয়।
.
তাই এই বিষয়ে উম্মাহকে সচেতন করা এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মৌলিক গবেষণাকর্ম ও মহান কিতাব এই ‘উসূলুল ঈমান’। অনুবাদ করেছেন এই দেশের বিখ্যাত দুই আলেম ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী এবং ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া।
বইয়ের নাম | উসূলুল ঈমান |
---|---|
লেখক | ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী |
প্রকাশনী | সবুজপত্র পাবলিকেশন্স |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |