উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি
পাঠকগণ তাদের সম্পর্কে জানলে, তাঁদের ছবি দেখলে হয়তো তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারেÑ “আমি কেন উত্তম চর্চা করি না? আমাকেও ভালো হতে হবে”। এমন প্রত্যাশায় আমি ভিন্ন পথে হাঁটছি।
এখন আমাদের সমাজ অনেকটাই অধঃপতিত। চারদিকে শুধু মন্দ মানুষদের জয়জয়কার। ভালো মানুষরা অবহেলিত ও কোনঠাসা। এখন আমার প্রকৃত বয়স প্রায় ৬৫ বছর। এ জীবনে অনেক নষ্টভ্রষ্ট, দ্বিচারী, ক্ষমতাখেকো, বিবেকহীন, মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ খারাপ মানুষ দেখেছি।<br>
তবে সৎ, সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ, ত্যাগী, দেশপ্রেমিক, বিবেকতাড়িত ভালো মানুষও কম দেখিনি। তাঁদের কারো কারো দর্শন, জীবনাচার ও উষ্ণ স্নেহের পরশ আমাকে অনুপ্রাণীত করেছে, সৎ, সত্য এবং ন্যায়ের অবক্ষয়ের মাঝেও তাদের ন্যায়—নীতিবোধ, ধৈর্য, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
এখানে কয়েকজন ভালো মানুষকে তুলে ধরেছি। তুলে ধরার উদ্দেশ্য হলো—বর্তমান প্রজন্মকে আলোকিত মানুষদের সন্ধান দেওয়া, উজ্জল নক্ষত্রতুল্য মানুষগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁদের প্রতি নিজের ঋণ শোধ করার চেষ্টা করা। প্রত্যাশা থাকলো এ ব্যতিক্রমী সংযোজনটি পাঠকদের ভালো লাগবে।
প্রশ্ন করা যেতে পারে, পৃথিবীর অন্য কোনো বইতে তো এ ধরনের সংযোজন থাকে না, আমার বইতে কেন? এমন প্রশ্নের সহজ উত্তরে বলা যায়, “আমরা শুধু ধর্মগ্রন্থে পরিবর্তন ও সংশোধন আনতে পারি না। অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা যায়। তাই আমি এ ধরনের সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি এ ভিন্নতা যৌক্তিক।”
আমাদের সমাজ এখন অস্থির। এখন অধিকাংশ মানুষের সহনশীলতা নেই। সম্প্রতি একজন অধ্যক্ষ, একজন উপাচার্য ও একজন শিল্পী যেভাবে অসহিষ্ণু ও শ্রম্নতিকটু ভাষায় কথা বলেছেন, এখানে উল্লিখিত মানুষগুলো সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন রকম।
বইয়ের নাম | উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি |
---|---|
লেখক | এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার |
প্রকাশনী | শোভা প্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |