সময়ের মূল্য বুঝতেন যাঁরা
ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, “একবার আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম। চিকিৎসক আমাকে বললেন, ‘আপনার এত অধিক অধ্যয়ন ও ইলমী আলোচনা আপনার ক্ষতির কারণ হবে, রোগ আরও বাড়িয়ে দেবে। কিছুদিনের জন্য এ থেকে বিরত ও বিশ্রামে থাকুন’। আমি বললাম, ‘আমি এটা মানতে পারবো না। তবে আমি আপনার কাছে আপনার জ্ঞান অনুযায়ী ন্যায় বিচার দাবী করছি। বলুন তো, মানুষ যখন আনন্দিত ও উৎফুল্ল হয়, মন মেজায কি তখন ভাল হয়ে উঠে না? আর তা কি অসুস্থতা দূর করে দেয় না? সুস্থতা আনয়ন করে না?’ তিনি বললেন, ‘অবশ্যই’। তখন বললাম, ‘আমি আনন্দিত হই কিতাবের মুতাআ’লা দ্বারা, মন মেজায ভাল হয় ইলমের আলোচনা ও চর্চা দ্বারা। আমি তাতে প্রশান্তি ও স্বস্থি বোধ করি। তারপরও কি বলবেন…..?’ তখন চিকিৎসক (নিরুপায় হয়ে) বললেন, ‘এটা আমাদের চিকিৎসা বিদ্যার বাইরের বিষয়’।”
:
[বই: ‘সময়ের মূল্য বুঝতেন যারা’ – শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রাহিমাহুল্লাহ)]
বইয়ের নাম | সময়ের মূল্য বুঝতেন যাঁরা |
---|---|
লেখক | শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ. |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুত তাকওয়া |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 320 |
ভাষা | বাংলা |