মূর্তিভাঙা প্রকল্প
যে—বুদ্ধিজীবী জনগণের কাছে প্রিয়,তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। জনগণকে মুগ্ধ করা,জনগণের সমীহ আদায় করা,এগুলো বুদ্ধিজীবীর কাজ নয়। এগুলো যাদুকর,পীর—দরবেশ,ও পুঁথিজীবীর কাজ। এ দেশে দুই ধরনের লোককে বুদ্ধিজীবী বলা হয়। একÑ যিনি জনগণের মগজ খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুইÑ জনগণ যার মগজ খেয়ে সুখনিদ্রা যায়। কিন্তু যিনি মগজ সৃষ্টি করেন,নষ্ট মগজ মেরামত করেন,বা সমাজের ময়লায় ঢেলে দেন অবলীলায় সাবান,তাকে এ অঞ্চলে বুদ্ধিজীবী ডাকা হয় না। বুদ্ধিজীবী এখানে তিনি,যিনি জনগণ যা শুনতে চায় তা শোনাতে পারেন। জনগণ যা দেখতে চায়,তা দেখাতে পারেন। যা বললে জনগণের ঘুম ভেঙে যায়,যা উচ্চারণ করলে কেঁপে ওঠে স্থিতাবস্থা,তা মুখে আনা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিজীবিতা। অর্থাৎ জনতা মনে করেÑ বুদ্ধিজীবী একপ্রকার ঘুমের বড়ি,যার কাজ সারাক্ষণ নির্বোধদের মাথায় পালক বুলিয়ে দেয়া।………(পৃষ্ঠা ১৮)
বইয়ের নাম | মূর্তিভাঙা প্রকল্প |
---|---|
লেখক | মহিউদ্দিন মোহাম্মদ |
প্রকাশনী | জ্ঞানকোষ প্রকাশনী |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |