বাবরের আত্মকথা
“বাবরের আত্মকথা” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
বাবর তাঁর পিতার মৃত্যুর পর মাত্র বার বৎসর বয়সে ফারগানার সিংহাসনে বসেন। পারস্যের পূর্ব সীমান্তে এই ক্ষুদ্র রাজ্য। রাজধানী ছিল আজান। রাজা হবার পর ভারতজয় পর্যন্ত মােটামুটি সব ঘটনাই আত্মচরিতে লিপিবদ্ধ করেছেন তিনি। বাবর ছিলেন একাধারে বীর সৈনিক ও সুচতুর রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়—তিনি ছিলেন দার্শনিক এবং কবি। ফারসী ভাষায় লেখা তাঁর কবিতাগুলি সুন্দর। তুর্কি ভাষাতে গদ্য ও পদ্য রচনায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন তিনি। তিনি শিকারে পারদর্শী ছিলেন। উদ্যান রচনায় তার অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় হতাে। তিনি পুষ্প-বিলাসী ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এসেই অনেক সময় ফুলের বাগানে প্রবেশ করতেন এবং একেবারে অন্য মানুষ হয়ে যেতেন। তাঁর লেখায় যুদ্ধক্ষেত্রের বর্ণনার পাশেই ফুলের বিবরণ দেখা যায়। তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি ব্যবহার প্রীতিপূর্ণ ছিল। বীর ছিলেন, কিন্তু নির্মম ছিলেন না তিনি। শত্রুকেও তিনি ক্ষমা করতে জানতেন। প্রবল সন্তানবাৎসল্য তাঁর চরিত্রের একটি বিশেষত্ব। নিজের জীবনের বিনিময়ে তিনি ভগবানের কাছে পুত্র হুমায়ুনের রােগমুক্তি কামনা করেন। জনশ্রুতি তার এই প্রার্থনার ফলে হুমায়ুন আরােগ্য লাভ করেন। কিন্তু বাবরকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
বইয়ের নাম | বাবরের আত্মকথা |
---|---|
লেখক | শচীন্দ্রলাল রায় |
প্রকাশনী | দিব্য প্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |