দাস্তান এ গদর
ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষের মধ্যে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে উর্দু কবিতা ও মুশায়রা মোগল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছে। মোগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের যুগেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। এমনকি শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ব্রিটিশ পেনসনভোগী হয়েও শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ হয়নি। জহীর দেহলভীর ‘দাস্তান-এ-গদর’বাহাদুর শাহ জাফর ও তাঁর সময়ের একটি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণী।
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ পরবর্তী ঘটনাবলি যেভাবে তাঁর এবং সামগ্রিকভাবে সমগ্র ভারতবাসীর জীবন তছনছ করে দিয়েছিল, সেই মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন, যাছবির মতো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন ১৮৫৭ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ বাহিনীর দিল্লি পুনরাধিকার এবং তাঁর পরবর্তী জীবনে।
আমরা তাঁর স্মৃতিতে সেসব স্থানেও বিচরণ করি। জহীর দেহলভী একজন কবি এবং বাহাদুর শাহজাফরের দরবারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন, যিনি ১৮৫৭ সালের বিপর্যয়কর সময়ে দিল্লিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধের নারকীয়তা তুলে ধরেছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে।
তাঁর স্মৃতিকথা ‘দাস্তান-এ-গদর’ শুধু তাঁর স্মৃতিকথা নয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল। বইটির বৈশিষ্ট হচ্ছে বর্ণনার সাবলীল ভঙ্গি। বৈঠকী আলোচনার ঢংয়ে তিনি বিদ্রোহ পরবর্তী দুঃখজনক ঘটনাগুলোকে ধারাবাহিক ভাবে বলে গেছেন, যে কারণে পাঠক নিজেকে সেই বৈঠকে উপস্থিত দেখতে পান। ইতিহাসপ্রেমিকদের জন্য এটি অবশ্য পাঠ্য একটি গ্রন্থ।
বইয়ের নাম | দাস্তান এ গদর |
---|---|
লেখক | জহির দেওলভী |
প্রকাশনী | নালন্দা |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |