গ্রেট ওয়াল টু অপেরা হাউজ
ক্যানবেরা নামকরণের বিষয়টি আবার আমার মাথার ভিতরে কিলবিল করে। ব্লাক মাউন্টেনের উপর থেকে উল্টো দিকে তাকাই। আমার চোখ খুঁজে ফিরছে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা সুবক্ষা কোনো নারী মূর্তির। নাহ্। সেরকম কোনো নারী মূর্তির সন্ধান মেলে না। হঠাৎ মনে হলো নারী মূর্তিটা খুঁজতে হবে আমাকে কবির চোখ দিয়ে। হ্যাঁ, আবার তাকাই। এবার মূর্তিটা আমার চোখে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়। এনস্লি পাহাড়টিকেই আমার কাছে মনে হয় উদ্ভিন্না যৌবনা যুবতীর একটি পয়োধর সেখান থেকে নেমে এসেছে খাঁজ আর ভাজ তারপর উপত্যকা। মনিমুক্তাখচিত লকেটের ন্যায় দুই উপত্যকার মাঝে ক্যানবেরা নগরীটি। আমার সন্দেহ থাকে না Nganabra অর্থাৎ যুগল পয়োধর থেকেই ক্যানবেরা নামের উপত্যকা।
....... পুত্র গিয়েছে গ্রেটওয়াল নির্মাণকাজে। বাড়ি ফিরছে না। আকুল পিতা বের হয়ে পড়লেন পুত্রের সন্ধানে। এদিকে পুত্রও পিতার সাথে মিলনের জন্য রওয়ানা হয়েছে বাড়ির দিকে। পথিমধ্যে দুজনের দেখা। আনন্দের আতিশয্যে তারা এমন জোরে চিৎকার দিয়ে উঠল যে সেখানেই দুজন মারা গেল। গ্রেট ওয়ালে হ্যাপি মিটিং মাউথ আজও এ ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে।
বইয়ের নাম | গ্রেট ওয়াল টু অপেরা হাউজ |
---|---|
লেখক | আহমেদ ফরিদ |
প্রকাশনী | নালন্দা |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০১৭ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 112 |
ভাষা | বাংলা |