যুবদাতুল বায়ান ফী ঈদাহিল কুরআন (২য় খন্ড)
শায়খ ইবনু উসাইমীন রহ. বলেন,
‘সূরা ফাতিহা একটি অনন্য সূরা। এর অনন্যতার একটি বিষয় হচ্ছে, এটি সালাতের একটি রুকন, শাহাদাতের পর যে সালাত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রুকন। সূরা ফাতিহা ব্যতীত সালাত গ্রহণযোগ্য হয় না। সূরা ফাতিহার আরেকটি অংশ হচ্ছে, এটি দ্বারা রুকইয়াহ করা যায়; অসুস্থ ব্যক্তির ওপর পাঠ করা হলে আল্লাহর অনুমতিতে সে সুস্থতা লাভ করে।’
.
সূরা ফাতিহার তাফসীর আলোচনা শেষে তিনি আরও বলেন,
‘সূরা ফাতিহা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি সূরা। আমি কেন, কারো পক্ষেই এর অর্থের ব্যাপকতা (ভাষায়) প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বরং এটা(অর্থাৎ আমার এই তাফসীর বিশাল) সমুদ্রের এক ফোঁটা জল সমতুল্য। যে আরও বিস্তারিত জানতে চায়, সে ইবনুল-কাইয়্যিম রহ.-এর (মাদারিজুস সালিকীন) গ্রন্থটি পড়তে পারে।’
.
ইবনুল-কাইয়্যিম রহ.-এর মাদারিজুস সালিকীন গ্রন্থটি মূলত সূরা ফাতিহার ِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ আয়াতের ব্যাখ্যায় লেখা। স্রেফ একটি আয়াতের ব্যাখ্যা নিয়ে উনি হাজার পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি লিখেছেন। আসলে সূরা ফাতিহার ফজিলত, অর্থের ব্যাপকতা লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। অথচ আমরা এই সূরাটি প্রত্যেক ওয়াক্তে পড়ি, কিন্তু এর অর্থ জানি না, এর তাফসীর জানি না।
‘যুবদাতুল বায়ান’ বইটি মূলত আমাদের মতো পাঠকদের জন্যই লেখা। লেখক ২৫৬ পৃষ্ঠার এই বইটিতে সূরা ফাতিহার প্রতিটি আয়াতের অত্যন্ত চমৎকার তাফসীর আলোচনা করেছেন।
বইয়ের নাম | যুবদাতুল বায়ান ফী ঈদাহিল কুরআন (২য় খন্ড) |
---|---|
লেখক | ড. আহমদ আলী |
প্রকাশনী | প্রচ্ছদ প্রকাশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |