নারীবাদি বনাম নারীবাঁদি
‘সত্যবাদী’ শব্দটায় যেমন কারও সমস্যা থাকার কথা না, ‘নারীবাদী’ শব্দের বেলায়ও তা-ই। কিন্তু সমস্যা হলো, এই শব্দের কতিপয় প্রয়োগকারীকে নিয়ে। কারণ, তাদের কথা ও কাজের মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক। শিকারকে আকৃষ্ট করতে শিকারি তো কত লোভনীয় ফাঁদই পাতে!
একটু গভীরে গিয়ে তাদের দৃষ্টিতে ‘নারী অধিকার’ ‘নারী স্বাধীনতা’র সংজ্ঞা জানতে চান; সদুত্তর মিলবে না। যে উত্তর পাবেন, বিবেক থাকলে ভাববেনওরা তো পানির পেয়ালায় মদ পান করতে চাইছে, মদ!ওরা নিরাপদ ঘরকে খাঁচা অপবাদ দিয়ে নারীকে ঘর থেকে বের করে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে। ওদের রঙিন চিঠির খামের ভেতরে আছে নারীকে ভোগ করার ঘৃণ্য নীলনকশা। দুর্জনের ছলের অভাব হয় না আসলে!
নারী হলো শিকড়, যে কিনা আঁকড়ে ধরে রাখে। অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে পারলে শিকড় মজবুত হবে না। নারী হলো সূতো, যে কিনা গেঁথে রাখে, বেঁধে রাখে। সূতো কেটে দিলে সুচেরা একা একা ঘর বাঁধতে পারবে না। তাতে ধ্বংস হবে পরিবার, সমাজ তথা গোটা জাতি।
বইয়ের নাম | নারীবাদি বনাম নারীবাঁদি |
---|---|
লেখক | কারিম শাওন |
প্রকাশনী | ফেরা প্রকাশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |