অন্ধ বধির মূক
মানুষ সৃষ্টিগতভাবে স্বাধীনচেতা বলে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্ধের মতো অনুকরণ করাকে নিজের জন্য বোঝা মনে করে। তাই স্রষ্টা থাকার বিষয়ে অমুক বিখ্যাতরা কী বলল, তমুক জ্ঞানীরা কী যুক্তি দেখাল, আপনার কাছে সেসবের মূল্য গোটা একটা শূন্যের সমান; যদি না নিজের সহজ-সরল চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে স্রষ্টাকে খুঁজে পান, যদি না আপনার অন্তরকে আপনি নিজের মতো করে বুঝিয়ে শান্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেন–একজন স্রষ্টা অবশ্যই আছেন।
‘স্রষ্টা থাকা বা না থাকা’র বিতর্কের মঞ্চ থেকে ভারী ভারী যুক্তিতর্ক শুনে আপনার অন্ধকারাচ্ছন্ন অন্তরের ঘরটা আলোকিত হলো কি না, সেটা বোঝা যায় বিতর্ক শোনার পরও যেই আপনি সেই ‘আপনিই’ হয়ে রইলেন। স্রষ্টাকে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারেন না বলে ‘কেউ নেই’ ভেবে হতাশাগ্রস্ত হন। ক্ষাণিক পরেই আবার ‘হয়তো কেউ একজন আছেন’ ভেবে আশাবাদী হয়ে ওঠেন–যখন দেখেন, জগতের কোনো কিছুর ওপর আপনার একবিন্দুও নিয়ন্ত্রণ নেই।
বইয়ের নাম | অন্ধ বধির মূক |
---|---|
লেখক | কারিম শাওন |
প্রকাশনী | ফেরা প্রকাশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |