মুসলিম নারীর হিজাব ও সালাতে তার পোশাক
পাশ্চাত্যের জনৈক কলেজ পড়ুয়া যুবতীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘আপনি কেন টাইট ফিট ড্রেস পড়েন?’, সে উত্তর দিয়েছিল ‘এসব পড়লে মানুষ আমার দিকে তাকায়, so that I feel great!’..!
এ কথা কেবল একজন পশ্চিমা নারীর নয়, এ কথা আমাদের দেশের মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়া অধিকাংশ নারীর।
সালাতের মত পরিপূর্ণ পর্দা করা ফরজ- এই বিধান সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞাত, তবুও এই নাফসানি খাহেশাতের কাছে তারা হার মেনে যায়।
হিজাব করলে ছেলেরা তাকায় না/ভ ার্সিটির কুলাঙ্গার স্যার-ম্যাডাম বকে/আত্মীয়দের কাছে কথা শুনতে হয়… ইত্যাদি অজুহাতের কাছে হার মেনে যায়।
.
‘প্রেজেন্টেশনের সময় আকর্ষণীয় পোশাক পড়তে হবে/অফিসে সুন্দর করে সেজে না গেলে বস অসন্তুষ্ট হবে’ ইত্যাদি রুলস এ্যান্ড রেগুলেশন শিক্ষিত যুবতীরা বুঝলেও কেন যেন দ্বীনের ব্যাপার আসলে সবাই কম্ফোর্ট খুঁজে বেরায়, জান্নাতকে খুব সস্তা মনে করে। ‘আর-রহমান আর রহিম’ বলে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে ইগনর করে।
.
আলহামদুলিল্লাহ, এত সমালোচনা, তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও অনেক বোন খালেসভাবে হিজাব করে যাচ্ছেন। কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে চেয়ে, জান্নাতের সুশীতল হাওয়ায় আখিরাতের অন্তত জীবনটা কাটিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দুনিয়ার এই সাময়িক সময় নিজেদেরকে হেফাজত করছে। দুই দিনের রূপের প্রশংসাকে পায়ের নিচে ফেলে গায়ে জরিয়েছে লিবাসুত-তাকওয়া। তারাই প্রকৃত স্বাধীন; কারণ তারা নফসের গোলামী করে না, বরং নফস তাদের গোলামী করে।
.
সেসকল আল্লাহ-ওয়ালা বোনদের জন্য অসাধারণ একটি বই হচ্ছে ‘মুসলিম নারীর হিজাব ও সালাতে তার পোশাক’। ক্লাসিকাল রাইটার শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ রহ. এর এক অসাধারণ রচনা। ছোট্ট কলেবরে বইটিতে উঠে এসেছে হিজাব কেন্দ্রিক সকল খুঁটিনাটি বিষয়, এবং সালাতে পোশাক পর্দার বিধান।
বইয়ের নাম | মুসলিম নারীর হিজাব ও সালাতে তার পোশাক |
---|---|
লেখক | শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রহ. |
প্রকাশনী | বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |