৬ দফা
বঙ্গবন্ধুর উত্থাপিত ৬ দফার কথা সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে জানে। শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্য বইয়ে ৬ দফা সম্পর্কে কিছু ধারণা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। কিন্তু এই ধারণা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানা, বোঝা এবং উপলব্ধি করার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। ৬ দফার উত্থাপন, এর প্রতিক্রিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এর প্রভাব কীভাবে কার্যকর ছিল এটিও বোঝার জন্য কেন বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসন সম্বলিত দাবি ১৯৬৬ সালে উত্থাপন করেছিলেন এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। সেই ধারণা পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ, কিংবা ১৯৫৮ সালের সামরিক স্বৈরশাসন কিংবা ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। ৬ দফার মূল চিন্তাধারা বুঝতে হলে পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থার চরিত্র ও কাঠামো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থার চরম দুর্বলতা ও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার কাঠামোগত চরিত্রকেই তুলে ধরেছেন। তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তনের দাবি শুরু থেকেই উপস্থাপন করে এসেছিলেন। ৬ দফায় তিনি ফেডারেল রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোতে পাকিস্তানকে পরিচালিত করার দাবি করেন।
বইয়ের নাম | ৬ দফা |
---|---|
লেখক | ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী |
প্রকাশনী | বাংলাপ্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |