তাফসীরে কুরআনে জাল হাদীস
অনুবাদ: মাওলানা আবদুল হাই রহ.
সম্পাদনা: মাওলানা হাবীবুর রহমান মুনীর নদভী
কভার: হার্ড কভার
পৃষ্ঠা: ৩৪৮
সম্পাদনা: মাওলানা হাবীবুর রহমান মুনীর নদভী
কভার: হার্ড কভার
পৃষ্ঠা: ৩৪৮
মাওলানা আশরাফ সাহেব মোবারকবাদের যোগ্য এবং ওলামায়ে কেরাম এর পক্ষ হতে শুকরিয়ার হকদার। তিনি যথাসাধ্য পরিশ্রমের পর তাফসীর সমূহ থেকে ইসরাইলি বর্ণনাবলী পৃথক করার চেষ্টা করেছেন। কিতাবটি দেখে বুঝা যায় যে, রচনা ও সংকলনে মাওলানার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। আর এই জন্য যে কষ্ট, ত্যাগ ও সাহসের প্রয়োজন তা তার মধ্যে পরিপূর্ণ রূপে বিদ্যমান।
বিস্ময়ের কথা হলো রাজনীতির কণ্টকময় ময়দানসমুহে দিশেহারা হওয়া সত্ত্বেও মাওলানা এ জাতীয় পাণ্ডিত্যপূর্ণ কিতাব লিখায় সফলকাম হয়েছেন। এটা তার বিপুল কর্মযোগ্যতার প্রমাণ। এছাড়াও মাওলানা কিতাব লিখেছেন যেগুলো এখনও প্রকাশ পায়নি। যেমন ‘ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলমানদের ভূমিকা’ তারিখে তাবারীর বর্ণনাকারী ও বর্ণনাবলী’ ইত্যাদি।
বক্ষমান কিতাবের ভুমিকা স্বয়ং যথেষ্ট গুরুত্ববহ। তাতে ইয়াহুদীদের চক্রান্তের পর্দা উন্মোচন করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেই রিওয়ায়াতসমুহ একত্র করা এবং একাধিক সংকলন বিদ্যমান থাকার বিষয়টি এখন সুপ্রমাণিত। সুতারাং রিয়ওয়ায়াত লিখন ও সংকলনের ধারাবাহিকতা হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল- প্রাচ্যবিদদের এ অভিযোগ করার কোনই সুযোগ নেই।
তবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়মতান্ত্রিক হাদিস সংকলনের কাজ দ্বিতীয় হিজরী সনে উমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. এর যুগে শুরু হয়েছিল। এটা এমন কোনো বিষয় নয় যে, এ কারণে রিওয়ায়াত সমুহের মূল বিশুদ্ধতাকে কলঙ্কিত করা হবে। কিতাবটি সাধারণ- বিশেষ নির্বিশেষে সবার জন্য পাঠযোগ্য।
বইয়ের নাম | তাফসীরে কুরআনে জাল হাদীস |
---|---|
লেখক | মাওলানা নিজামুদ্দিন আসীর আদরবী |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুত তাকওয়া |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |