বই : বাংলার হিরে মোতি পান্না-৪ : আমীরে শরীয়ত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.

মূল্য :   Tk. 600.0   Tk. 330.0 (45.0% ছাড়)
 

শামসুল হক ফরিদপুরীর চিঠি পেয়ে থানভীর অনুমতিতে তিনি থানা ভবন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে আসেন এবং মাদ্রাসায়ে বাহরুল উলুম বর্তমানে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতাকালে রায়পুর নিবাসী হাফেজ ত্বহার কন্যা সিদ্দিকা খাতুনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৩০ সালে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের সাথে হাফেজ্জী, ফরিদপুরী ও আবদুল ওয়াহহাব পীরজীর মতানৈক্য দেখা দেয়। তাই তারা তিনজন মিলে বাগেরহাটের এক অজপাড়াগাঁ গজালিয়ার একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো মাদ্রাসা পুনরায় আবাদ করেন। পল্লী এলাকায় মাদ্রাসাটির আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় তারা ১৯৩৩ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম, বড় কাটরা প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রীবিয়োগ হওয়ায় তিনি হাফেজ ত্বহার ষষ্ঠ কন্যা খাদিজা খাতুনের সাথে দ্বিতীয়বারের মত পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এ সংসারে তার ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। এরপর তিনি হজ্জে গমন করেন। হজ্জ থেকে ফেরার কিছুদিন পর থানভী তাকে খেলাফত প্রদান করেন। খেলাফত প্রাপ্তির পর তিনি আমভাবে মুরিদ করতেন না।

তিনি লালবাগ শাহী মসজিদের ইমাম ছিলেন। বড় কাটরা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি এই মসজিদে তিনি একটি আদর্শ হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন। হেফজখানার শিক্ষাব্যবস্থায় তিনি পানিপথের পদ্ধতি অনুসরণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচলিত সকল হেফজখানায় এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে সারাদেশে প্রচলিত মক্তব শিক্ষা ও কুরআন হিফজের বিশাল পরিধির পেছনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

বড় কাটরা মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক আবদুল ওয়াহহাব পীরজী ও শামসুল হক ফরিদপুরীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে ফরিদপুরী মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নেন। তিনি ফরিদপুরীকে তার প্রতিষ্ঠিত লালবাগ শাহী মসজিদ সংলগ্ন হেফজখানায় আমন্ত্রণ জানান। ফরিদপুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে তিনি বড় কাটরা মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নিয়ে ফরিদপুরীর সাথে ১৯৫০ সালে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৬ সালে ফরিদপুরীর সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ ১৯৬৫ সালে একক প্রচেষ্টায় তিনি কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়াপ্রতিষ্ঠা করেন। মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

১৯৭৮ সালের ২৫ মে তার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। বিসমিল্লাহ যুক্ত করা সহ সংবিধানের নানাবিধ সংস্কারের জন্য তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ইসলামের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের কিছু সমস্যা তুলে ধরেন। ২৯ মে তার মৌখিক বক্তব্যগুলো আরও পূর্ণাঙ্গ অবয়বে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতিকে একটি খোলা চিঠি দেন। ১৯৮০ সালে তাকি উসমানি প্রথমবারের মত ঢাকায় আগমন করলে তিনি তাকে মাদ্রাসায় আমন্ত্রণ জানান এবং তার মাধ্যমে পাকিস্তান সৃষ্টির উদ্দেশ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হককে একটি চিঠি দেন।

বইয়ের নাম বাংলার হিরে মোতি পান্না-৪ : আমীরে শরীয়ত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.
লেখক মাওলানা নাসীম আরাফাত  
প্রকাশনী মাকতাবাতুল হুদা আল ইসলামিয়া
সংস্করণ ২য় প্রকাশ, নভেম্বর ২০১৬
পৃষ্ঠা সংখ্যা 368
ভাষা বাংলা

মাওলানা নাসীম আরাফাত