ইসলামে মধ্যপন্থা ও পরিমিতিবোধ
কোন ব্যক্তির চিন্তার সাথে আমার চিন্তা মিলে গেলে কিংবা তাঁর চিন্তা-চেতনায় ঢালাই হওয়ার তার ভাবনাকেেই আমার জুৎসই মনে হলে বড় জোর আমি তাতে স্বস্তিবোধ করতে পারি , শতভাগ নিশ্চয়তা তো লাভ হতে পারে না । এমনকি দলীল-প্রমাণ দ্বারাও যদি তা সমর্থিত হয় তবুও যতক্ষন পর্যন্ত তা মানসুস(কুরআন-সুন্নাহর দ্বর্থহীন ভাষ্য দ্বারা ব্যক্ত) না হবে ততক্ষন ভিন্ন মতটির বিশুদ্ধতার অবকাশ থেকেই যায় । সেই অবকাশ থাকা সত্বেও কি করে তাকে এক কথায় নাকচ করে দেওয়া যায় ? আর যদি নিশ্চিতভাবে প্রমাণ হয়ে যায় যে , মতটি ভুল , তাতে সে মতটি না হয় খারিজ হয়ে যাবে , মতের প্রবক্তাকে তা বাতিল করবে কোন যুক্তিতে ? তা করতে যাওয়া কি সীমালংঘন নয় ? প্রামাণ্য কোনও ব্যাক্তির দু-চারটি ভুলের খোদ সেই ব্যাক্তিকে নিন্দা ও সমালোচনার পাএ বানানো এবং সর্ব-সাধারনের কাছে তাকে বাতিল সাবস্থ করার তৎপরতা লিপ্ত হওয়া ইনসাফসম্মত কাজ নয় কিছুতেই । ইসলামের ইনসাফ তো সকলের জন্য অবারিত । কাফির-মুশরিকের প্রতিও জুলুম করার কোন বৈধতা অন্তত আমােদর দ্বীনে নেই । কুরআন মাজীদে ইরশাদ ।
وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَـَٔـانُ قَوْمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعْدِلُواْۚ ٱعْدِلُواْ هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ
হে মুমিনগণ ! কোনও সম্প্রদয়ের প্রতি বিদ্বেশ যেন তোমাদেরকে কখনও ইনসাফ বর্জনে প্ররোচিত না করে , ইনসাফ করবে । এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর
সুরা মায়িদা :৮
বইয়ের নাম | ইসলামে মধ্যপন্থা ও পরিমিতিবোধ |
---|---|
লেখক | মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুল আশরাফ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |