প্রেমের সফর
হজের সফর, প্রেমের সফর। প্রতিটি সৃষ্টিই আশেকদের অন্তর আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় উদ্বেলিত করে। এ ভালোবাসা অপার্থিব, প্রেমময়। জগতের সামান্য সৃষ্টিও যার অন্তরে এমন ভাবাবেগ তৈরি করে, তার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিবিজরিত স্থান―পবিত্র মক্কা-মদীনা―কেমন আন্দোলন সৃষ্টি করবে, তা এ গ্রন্থটি পাঠ না করলে হয়তো উপলব্ধির বাইরেই থেকে যাবে। সাইয়্যিদ মানাযির আহসান গিলানী রহ. ছিলেন একজন বুযুর্গ, আল্লাহর সত্যিকার আশেক এবং কবি। তার লেখনী মানেই ভিন্ন স্বাদের কিছু। তিনি এমন এক সময় জীবনের প্রথম হজের সফর করেছেন, যখন দেশে বৃটিশ শাসন চলছিল এবং সমুদ্রপথে দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় হজের যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করা হতো। তার এ সফরনামার বর্ণনাভঙ্গী এমন, যেন আমরাও তার সফরসঙ্গী। চৌদ্দশ বছর আগে সাহাবীদের পদচারণ যেন তিনি শুনছেন―ওই যে পাহাড়, কেমন যেন পরিচিত লাগে! আসলে তার সুবিশাল পাÐিত্য ও অধ্যয়নে মনের ও চোখের দেখা একাকার হয়ে উঠেছে। এটি একটি অবিশ্বাস্য গ্রন্থ। পড়েই দেখুন, আপনিও এই প্রেমের সফরের সহযাত্রী হয়ে উঠবেন, ইনশাআল্লাহ।
লেখক পরিচিতি
মাওলানা সাইয়্যিদ মানাযির আহ্সান গিলানী রহ. ১৮৯২ সালে বিহারের নালন্দা জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম গিলানে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ পিতৃব্য হাজী সাইয়্যিদ আবুন নাসর-এর নিকট প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তারপর তিনি হাকিম বরকত আহমাদ রহ.-এর নিকট রাজস্থানের টঙ্কে ছয় বছর পড়াশোনা করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে (১৩১১-১৩৩২ হি.) তিনি শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান রহ.-এর কাছে সহীহ বুখারী ও সুনান আত-তিরমিজী অধ্যয়ন করেন এবং তাকেই নিজের আধ্যাত্মিক শায়েখ হিসাবে গ্রহণ করেন। তিনি মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ.-এর নিকট সহিহ মুসলিম নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। শিক্ষা সমাপনান্তে দারুল উলূম দেওবন্দের মুখপাত্র আল কাসিম পত্রিকার সম্পাদক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কয়েক বছর পর হায়দারাবাদ (দক্ষিণাত্য) জামিয়া উসমানিয়ায় অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং দীনিয়্যাত বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ শাওয়াল ১৩৭৫ হি. / ৫ জুন ১৯৫৬ সালে তাঁর ওফাত হয়।
বইয়ের নাম | প্রেমের সফর |
---|---|
লেখক | সায়্যিদ মানাযির আহসান গিলানি রহ. |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুল ফুরকান |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 80 |
ভাষা | বাংলা |