প্রণয়িনী
খোলা আকাশের নিচে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় পাশাপাশি বসে আছে এক জোড়া মানুষ। প্রণয়নের পর আজই তাদের প্রথম রাত! আকাশে তারাদের মেলা। চাঁদের সবটুকু আলো তাদের ঘিরে রেখেছে।
মৃদু সমীরণ বয়ে যাচ্ছে। গাছের পাতাগুলো ঝিরঝিরে কাঁপছে। হাসনুহানার ঘ্রাণে পরিবেশটা ম-ম করছে।
‘আমার কথাতে যদি হয় ভুল,
কভু পেয়ে থাকো ব্যথা!
মুখ ফিরিয়ে নিও নাকো তবু,
গায়ে জড়িয়ে দিও কাথা!
তুরফার চোখ ঝকঝক করছে। সে খুশিখুশি মুখ নিয়ে বলল,
‘আপনি বেশ ভালো ছন্দ মেলাতে পারেন।’
আবরার নিঃশব্দে হাসলো। এই মানুষটা তার জীবনে এসেছে মাত্র কয়েক ঘন্টা হলো। আর এইটুকু সময়েই তার নিজের মধ্যে কেমন একটা পরিবর্তন এসে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ ছন্দ মিলিয়ে ফেলা, তার মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা। এরেয় হয়তো ভালোবাসা কয়।
‘কখনো প্রেমে পড়েননি তো তাই বুঝতে পারছেন না।
প্রেমে পড়লে মানুষ ছন্দ মেলাতে শেখে। সে যেদিকে তাকায় কেবল শব্দ আর বর্ণ ভাসে।’
তুরফা হাসলো। চাঁদের আলোয় ঝকঝক করছে তার আঁকাবাঁকা দাঁতগুলো। চোখ বন্ধ করে সে বলল,
‘আচ্ছা আপনার কাছে প্রেম এবং ভালোবাসা কি এক মনে হয়?’
আবরার আকাশের দিকে মুখ করে আছে। প্রিয়তমা স্ত্রীর দিকে তাকালে যে সে সব ভুলে যায়, কথাবার্তা সব এলোমেলো হয়ে যায়।
‘প্রেম, ভালোবাসা কখনো এক মনে হয়নি। তবে জানেন! প্রেম এবং ভালোবাসা একে-অপরের সাথে সম্পৃক্ত। আমার কাছে এগুলোর সংজ্ঞা আলাদা।
কাউকে খুব করে কাছে পাওয়ার টানই হলো প্রেম!
আর কাছে পেয়ে সারাজীবন নিজের পাশে আগলে রাখাটাই হলো ভালোবাসা। প্রেম মানে মুগ্ধতা আর ভালোবাসা মানে পূর্ণতা!’
বইয়ের নাম | প্রণয়িনী |
---|---|
লেখক | জুয়াইরিয়া কাজিমা |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুস সাহাবা |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |