রিয়াযুস সালেহিন (৩ খণ্ড)
আমাদের অনূদিত রিয়াযুস সালিহিন-এর বৈশিষ্ট্য মুহিউদ্দিন নববি রহ. ছিলেন হিজরি সপ্তম শতকের ক্ষণজন্মা মুহাদ্দিস ও হাদিসশাস্ত্রের সর্বজনস্বীকৃত ইমাম। রিয়াযুস সালিহিন তাঁর সংকলিত সর্বাধিক পঠিত, ব্যাপক সমাদৃত ও কালজয়ী একটি গ্রন্থ; যা বিগত সাতশ বছর ধরে নানা শ্রেণির পাঠকের জ্ঞানপিপাসা ও আত্মার ক্ষুধা নিবারণ করে আসছে। পরিপূর্ণ দ্বীন মানতে আগ্রহী একজন মুসলিম ব্যক্তির জীবনের যেসব বিষয়ে জানা জরুরি, ইমাম নববি রহ. আলোচ্য গ্রন্থটিতে সে ধরনের প্রায় সকল বিষয়ের শিরোনাম রেখেছেন এবং প্রতিটি শিরোনামের অধীনে উক্ত বিষয়-সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত ও হাদিসে নববির সমাহার ঘটিয়েছেন। হাদিস গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসায়ি,সুনানে আবু দাউদ,সুনানে ইবনে মাজাহ,জামেয়ে তিরমিজি, ও মুআত্তা মালেকের ন্যায় নির্ভরযোগ্য হাদিসগ্রন্থসমূহকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এসব বিশেষত্বের কারণে অন্য অনেক পাঠকনন্দিত গ্রন্থের ন্যায় রিয়াযুস সালিহিন বইটিও পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়াজাগিয়েছে। আমাদের এই অনুবাদগ্রন্থটি বেশ কিছু কারণে ভিন্নতা ও অনন্যতার দাবিদার। যেমন : ০১- অনুবাদক যেহেতু দীর্ঘদিন যাবৎ ‘আরবি ভাষা ও সাহিত্য’ বিভাগে পাঠদানের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাই আরবির ওপর তাঁর বেশ ভালো দখল রয়েছে। আশা করা যায়, এ কারণে প্রতিটি হাদিসের অনুবাদ বিশুদ্ধ ও মূলানুগ হওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট ঝরঝরে ও সুখপাঠ্য হয়েছে। ০২- অনুবাদক মুফতি আব্দুল মালেক সাহেব হাফিযাহুল্লাহ এর পরিচালিত মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকায় দু-বছর (২০০৯-১০ খ্রি.) উলুমুল হাদিস তথা উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। তাই হাদিস নিয়ে গবেষণা করা তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।রিয়াযুস সালেহিন” বইটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে তার গবেষণার অনেককিছুই ফুটে উঠেছে। ০৩-শুধু অনুবাদ পাঠ করে যেসব হাদিসের মর্ম উপলব্ধি করা যায় না
বইয়ের নাম | রিয়াযুস সালেহিন (৩ খণ্ড) |
---|---|
লেখক | ইমাম আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবনে শারাফ আননাওয়াবী রহ. |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুস সুন্নাহ (বাংলাবাজার) |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |