এক ঝলকে কুরআন কারিম
আল কুরআনুল কারিম থেকে উপকৃত হবার বহু পথ ও পন্থা রয়েছে। কুরআনে কারিম থেকে উপকৃত হবার একটি বড় মাধ্যম হলো এর অর্থ-মর্ম অনুধাবন করা। সর্বসাধারণের জন্য কুরআনে কারিমের অর্থ অনুধাবন এবং এর হেদায়াত ও শিক্ষা গ্রহণের সবচেয়ে উত্তম ও নিরাপদ পন্থা হলো, নির্ভরযোগ্য কোনো তাফসির, টীকাসম্বলিত তরজমা কিংবা সারমর্ম জাতীয় গ্রন্থ আস্থাভাজন উসতাযের কাছে অল্প অল্প করে পাঠ করা। যদি এর সুযোগ না থাকে তাহলে কোনো নির্ভরযোগ্য আলেমের তত্ত্বাবধানে এ জাতীয় গ্রন্থ পাঠ করা যাবে।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে ‘এক ঝলকে কুরআন কারিম’ বইটি একটি বিশেষ উপকারি উদ্যোগ। যদিও গোটা কুরআনে কারিমের অর্থ-মর্ম ও শিক্ষাকে এক-দুটি গ্রন্থে তুলে ধরা মানুষের সাধ্যের উর্ধ্বে, তথাপি কুরআনের মৌলিক দাওয়াত ও শিক্ষার একটি ঝলক পাঠকের সামনে উপস্থাপনেরও বহুবিধ উপকার রয়েছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো
১. এর দ্বারা কুরআনে কারিমের তেলাওয়াত ও শিক্ষা গ্রহণের বিশেষ শওক ও আগ্রহ তৈরি হয়।
২. এর মাধ্যমে খুব সহজেই কুরআনে কারিমের বিষয়বস্তুর পরিচয় লাভ করা যায়।
৩. কুরআনে কারিমের মৌলিক যে বিষয়গুলো পুনঃপৌনিকতার সাথে আলোচিত হয়েছে সেগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় এবং এসব বিষয়ের গুরুত্ব হৃদয়ে গেঁথে যায়।
৪. উপরন্তু কেউ যদি এ ধরনের বই একাধিকবার পড়েন, তারপর কুরআনে কারিম তেলাওয়াত করেন কিংবা শুনেন, তাহলে খুব সহজেই কুরআনে কারিমের বিষয়বস্তুর সারমর্ম তার যেহেনে বসে যাবে।
পবিত্র মাহে রমযানকে কেন্দ্র করে সাধারণত আমরা নিজেরাও কুরআনে কারিমের তেলাওয়াত করি এবং তারাবিতে তেলাওয়াত শুনে থাকি। রমযানুল মোবারক ছাড়াও বছরব্যাপী অনেকেই কুরআন তেলাওয়াত করে থাকেন।
রমযানে এবং রমযানের পরেও তেলাওয়াতের পাশাপাশি ‘এক ঝলকে কুরআন কারিম’ এর অধ্যয়ন পাঠকের কুরআন চর্চাকে বেগবান করবে। বিষয়বস্তু, উপস্থাপনার ধরন, ভাষার সাবলীলতা ও প্রয়োজনীয়তার বিচারে এ বইটি সবশ্রেণির পাঠকের জন্য খুবই উপযোগী আলহামদুলিল্লাহ।
বইয়ের নাম | এক ঝলকে কুরআন কারিম |
---|---|
লেখক | মাওলানা রাশেদুর রহমান |
প্রকাশনী | মুআসসাসা ইলমিয়্যাহ বাংলাদেশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |