তারিখুল ইসলাম
‘তারিখে ইসলাম’ এর ব্যাপারে আকাবীরে উম্মত ও ঐতিহাসিকদের যে মর্যাদাপূর্ণ মতামত আমাদের কাছে পৌঁছেছে তা যদি লিপিবদ্ধ করতে যাই তাহলে এর জন্য এই সংক্ষিপ্ত জায়গা যথেষ্ট হবে না। তাই আমরা কয়েকজন আকাবীর ও ঐতিহাসিকদের মন্তব্য থেকে নির্বাচিত কিছু কথা উল্লেখ করছি।
দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিস হযরত মাওলানা সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী [রহ। এর অনুপম ভাবনা এর মাধ্যমে অনুমান হতে পারে যে, তিনি অনেক মাদরাসায় এটি পাঠ্যভুক্ত করিয়েছেন এবং করে যাচ্ছেন।
সদরে জমিয়তুল উলামা হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ কিফায়াতুল্লাহ সাহেব [রহ.] লিখেছেন যে, ‘তারিখে ইসলাম’ কিতাবটি আমি পাঠ করেছি। কিতাবটি এ দাবি রাখে যে, এটি স্কুল, সংগঠন, মক্তব ইত্যাদিতে পাঠ্যভুক্ত করা হোক।
দারুল উলুম দেওবন্দের ফিকহ ও আদাবের উস্তাদ হযরত মাওলানা ইযায আলী (রহ.) যার আদেশ ও নির্দেশনা মোতাবেক এবং যার পথ পদ্ধতি মোতাবেক রচনার ধারা শুরু হয়েছে, তিনি স্বীয় অভিমতের মধ্যে বলেছেন:
“এই পুস্তিকাটিতে না তো কোনো দুর্বোধ্য শব্দ রয়েছে, আর না তার বিষয়বস্তু নিম্ন মেধার অধিকারীদের জ্ঞানের বাইরে। বিষয়বস্তু এতই সহজ যে, মধ্যম পর্যায়ের মেধার অধিকারী শিশুও সহজভাবে বুঝতে পারে। শব্দাবলির ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ততার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে। যে সকল অবস্থা এবং যে সকল বিষয় লিখা হয়েছে তা সুদৃঢ়। আমার রায় হলো, এই পুস্তিকাটির প্রচলন ঘটানো হিন্দুস্তানের মুসলমানের প্রথম দায়িত্ব। দ্বীনি প্রচার সংগঠনগুলো নিজেদের দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্য সহজেই সফল হতে পারে। ইসলামী মাদরাসাগুলোর জন্য এই ব্যাপারে অনেক বেশি ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।”
বইয়ের নাম | তারিখুল ইসলাম |
---|---|
লেখক | হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মিয়া রহ. |
প্রকাশনী | রাহে জান্নাত কুতুবখানা |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 260 |
ভাষা | বাংলা |