মহাজ্ঞান
সূচীপত্র
ভূমিকা
জ্ঞানের সূচানা : প্রভুর সমীপে কিছু প্রশ্ন
মহাজ্ঞানের ভূমিকা
জ্ঞানের স্তরভেদ জ্ঞানহীন বিশ্বাস : সৃষ্টির কোন্দল এবং কোন্দলের সৃষ্টি
ভূমিকা
আধুনিক যুগে যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্ঞানকে কেবল তথ্যের সমাহার ব’লে মনে করা হয়, তবুও জ্ঞানশাস্ত্রে এ কথা স্বীকৃত যে জ্ঞানকে যেমন চূড়ান্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, তেমনি তার উৎস কী এবং তার প্রকৃতি কেমন সে ব্যাপারেও চূড়ান্তভাবে কোনো মন্তব্য করার সময় মানব জাতির এখনও আসেনি। আমি আমার বিভিন্ন বইতে জ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করেছি। জ্ঞানের মনস্তত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েও জ্ঞানের চরিত্র সম্পর্কে কিছু নতুন আবিষ্কার করার সুযোগ আমার হয়েছে । মূলত জ্ঞানের রয়েছে স্তরভেদ। একই মহা চেতনার ভিন্ন ভিন্ন স্তর বাস্তবতার বা জীবনের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে জ্ঞান ব’লে অভিহিত। কিন্তু এই বইতে আমরা জ্ঞানের যে মাত্রাটির প্রতি নির্দেশ করতে যাচ্ছি, তা একমাত্র কোরআনের আলোকেই আলোচিত হওয়া সম্ভব। দর্শন শাস্ত্রে, গবেষণা পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, ইত্যাদির আলোকে জ্ঞান সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, তা জ্ঞানের বৃক্ষের শেকড় পর্যন্ত কখনও পৌছাতে পারে না। এর প্রধান কারণ এই নয় যে, জ্ঞানের উৎস মানবের মধ্যে নেই, বরং এর প্রধান কারণ হলো এই যে, জ্ঞান সম্পর্কে বৈধ এবং নির্ভরযোগ্য কোনো আলোচনা চালিয়ে যেতে হলে সৃষ্টির উৎস সম্পর্কে যে তথ্যগুলির প্রয়োজন হয়, একমাত্র পবিত্র কোরআনেই তা সরবরাহ করা হয়েছে। তা ছাড়া আমরা এখন জ্ঞানের এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, যা অত্যন্ত মৌলিক ব’লে মানব মনের একটি স্বাভাবিক তৃষ্ণা ‘চিরকালই তার দিকে ছুটে চলে, যদিও অনুষ্ঠানিকভাবে আমরা অনেক সময়ে তাকে সন্ধান করি না। জ্ঞানী হোক, স্বল্প জ্ঞানী হোক, আর অজ্ঞ হোক, নিজের উৎস সম্পর্কে কার না মন চায় জানতে? কিন্তু এই অনুসন্ধিৎসার প্রাথমিক অনুভূতিটুকুকে আমরা অধিকাংশ সময়ে চায়ের আড্ডাখানায় জ’মে ওঠা আলোচনার মধ্যে দিয়েই ফুরিয়ে ফেলতে চাই, তাকে হয়তো বা যথোচিত গুরুত্ব দানের দানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে নিয়ে এস বিশ্লেষণ
বইয়ের নাম | মহাজ্ঞান |
---|---|
লেখক | S. M. Zakir Hussain |
প্রকাশনী | রোহেল পাবলিকেশনস্ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |