ডাকো আমাকে সাড়া দেবো
যুগ যত আধুনিক হচ্ছে, মানুষ তত আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষের মাঝে বাড়ছে হতাশা। হতাশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক রোগ ও আত্মহত্যা-প্রবণতা । এ-থেকে উত্তরণের পথ একটাই—আল্লাহর সাথে সম্পর্ক। এটিই সকল বিষণœতা ও দুশ্চিন্তার একমাত্র ঔষধ। মানুষ যাতে আল্লাহমুখী হয়, নিজের সুখ-দুঃখের কথা তাঁরই কাছে প্রাণখুলে বলতে অভ্যস্ত হয়, বিপদে একাকিত্ব অনুভব না করে, তারও যে আপন কেউ আছেন, সদাসর্বদা খেয়াল রাখছেন তার প্রতি; এই সত্য সুন্দর ও পবিত্র অনুভূতি হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়, সে-জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস; অতীতের সোনালি মানুষদের জীবনে ঘটে যাওয়া দোয়া কবুলের কিছু ঘটনা মাতৃভাষায় উপস্থাপন।
আমরা যে পৃথিবীর বাসিন্দা, যে পৃথিবীর আলো-হাওয়া-জল ভোগ করে, সুখ-দুঃখ কাঁধে লয়ে, অদৃশ্য আত্মার ইঞ্জিনের সাহায্যে সুন্দর এ দেহটিকে চালিয়ে নিচ্ছি—সে পৃথিবী যে অন্য এক জগত থেকে, অন্য এক মহা শক্তির সুশৃঙ্খল তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে, এ বই তার অনুপম দলিল।
আমাদের এক প্রিয় বন্ধুকে অন্তর্জালে বাংলার এক দার্শনিকের একটি তত্ত্বকে সপ্রশংস কলমে উল্লেখ করতে দেখে খুবই আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। তত্ত্বটিতে দেখানো হয়েছে—শ্রম প্রার্থনা= শস্য। শ্রম= শস্য। সুতরাং প্রার্থনা= ০। আমরা প্রার্থনা সমান যে শূন্য নয়, বরং প্রার্থনারও যে রয়েছে আশ্চর্য ফল ও প্রভাব—তা-ই দেখাতে চেয়েছি।
বইয়ের নাম | ডাকো আমাকে সাড়া দেবো |
---|---|
লেখক | মাওলানা মুইনুল ইসলাম |
প্রকাশনী | শব্দশৈলী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২২ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 192 |
ভাষা | বাংলা |