অভিশপ্ত নগরী
যিরূশালেমকে কেন্দ্র করে 'অভিশপ্ত নগরী' উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে। কিন্তু এর কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুতে রয়েছে য়িহুদী জাতির পতনের সময়কার তার সমাজব্যবস্থা, ধর্ম, রাজতন্ত্র এবং সর্বোপরি রাজতন্ত্র ও পুরোহিততন্ত্রের মধ্যে বিরোধের নিগূঢ় ভাষ্য। য়িহুদী জাতি গড়ে তুলেছে। বস্তুত য়িহুদীদের ঐ দ্বৈপায়ন চরিত্র অনুধাবন তাবৎ বাইবেলের নির্যাসকে আতস্থ করা থেকেই সম্ভব। উপন্যাসের চরিত্র চিত্রণে এখানেই লেখকেই কৃতিত্ব।
অথচ সকলের ক্ষেত্রে য়িহুদী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য আর তারই সমান্তরালভাবে যিরূশালেমের উত্থানপতন- এক কথায় অভিশপ্ত জাতি ও অভিশপ্ত নগরীর মধ্যকার যোগসূত্রের পুনরুদ্ধার আপামর অভাজন ব্যক্তিদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। শ্রীসত্যেন সেন 'অভিশপ্ত নগরী' সেই অভাব মোচনের জন্য যেন একটা দৃঢ় সংকল্পের স্বাক্ষর।
'ইতিহাসের যে ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে ভেলভেটের জুতো নিচে নামছে আর কাঠের জুতো উপরে উঠছে' সেই ইতিহাস-চেতনা 'অভিশপ্ত নগরী'র সূত্রধার।
বইয়ের নাম | অভিশপ্ত নগরী |
---|---|
লেখক | সত্যেন সেন |
প্রকাশনী | শব্দশৈলী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০১৫ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 176 |
ভাষা | বাংলা |