ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি
রাষ্ট্র ও সরকার দু’ধরনের হয়ে থাকে।
কর আদায়কারী পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও সরকার। পথপ্রদর্শনকারী কল্যাণরাষ্ট্র ও সরকার। অর্থভিত্তিক ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল লক্ষ্য থাকে রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয়ের অসীম স্ফীতি। হিদায়াতের দিকে পথপ্রদর্শনকারী (হিদায়াতি) রাষ্ট্রের উপলক্ষ্য ও গঠন হয়ে থাকে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার উপলক্ষ্য ও গঠনপ্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রাণ, প্রবণতা, আত্মচাহিদা, সিরাত, আচরণ ও কর্মপন্থার দিক থেকে হয় প্রথমটির সম্পূর্ণ বিপরীত। হিদায়াতি রাষ্ট্রের কর্ণধারদের মধ্যে শরিয়তের মূলনীতি বাস্তবায়ন, নিজ দায়িত্ব মূল্যায়ন, সেবা করা ও অপরকে নিজের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা বিদ্যমান থাকে।
ইতিহাসে এই দুই ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। অতীত থেকে বর্তমান, প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে এ ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থা জীবনবিধানের মত ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়ে পড়েছে। তবে হিদায়াতি রাষ্ট্রের উপমা ইতিহাসে যেমন বিরল, বর্তমানে তো প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে অধিকাংশ-বলতে গেলে সবগুলো রাষ্ট্রই হচ্ছে নিরেট পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের নিকৃষ্টতম উদাহরণ।
“ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি” বইটির অধিকাংশ অংশজুড়ে হিদায়াতি রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। তুলনা ও পর্যালোচনার মানদণ্ডে। উত্তর আধুনিক এই যুগে জীবনব্যবস্থা হিসেবে কোন রাষ্ট্র কাঠামো অধিক প্রাসঙ্গিক- এই গ্রন্থে তা স্বচ্ছভাবে ফুটে উঠেছে।
বইয়ের নাম | ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি |
---|---|
লেখক | শায়খ আব্দুল হাকিম হক্কানি |
প্রকাশনী | ইত্তিহাদ পাবলিকেশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |