ব্যবহারিক বিজ্ঞান উৎপত্তি ও বিকাশ
আরবী শব্দ ইল্ম হলো উলুম এর বহুবচন- যা বিজ্ঞান অর্থে ব্যবহৃত হয়। কুরআনেই সর্বপ্রথম ‘ইলম’ শব্দটির ব্যবহার হয় যা বর্তমানে শিখন (learning) হিসেবে বহুল পরিচিত। নবী মুহাম্মদ (সা.) এ পরিভাষাটিকে সুবিন্যস্তরূপে সজ্জিত করেন এবং যুগের মুসলিম স্কলারদের লেখনীর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এটি ‘বিজ্ঞান’ অর্থে ব্যবহৃত হতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, জাবির ইবন হাইয়ান- যিনি রসায়ন বা আলকেমী’র জনক, তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মূলভিত্তি হিসেবে ‘তাজরীবা কে নির্ধারণ করেন যা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি হিসেবে সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে নবম শতাব্দীতে আল-খাওয়ারিজমী বীজগণিত পাটিগণিত উদ্ভাবন করেন এবং আল-কিন্দী এটিকে চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিদ্যার গবেষনার ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ করেন। সবশেষে, আল-ফারাবী, ইবন সিনা, ইবন হাইথাম ও আল-বিরুনী ‘আল-উলুম আল-তাজরিবীয়াহ’-কে অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে যান- যার ফলে বারো শতাব্দীর মাঝামাঝিতে পাশ্চাত্যের স্কলারগণও মুসলিম মনিষীদের গবেষনাকে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করতে শুরু করেন। সুতরাং বিজ্ঞান গ্রীক কিংবা রোমান কিংবা হেলেনিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দ্বারা প্রভাবিত ছিলো না, বরং এটি মহাগ্রন্থ আল-কুরআন, নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং ক্লাসিকেল মুসলিম চিন্তাবিদদের একটি বিস্ময়কর উপহার।
বইয়ের নাম | ব্যবহারিক বিজ্ঞান উৎপত্তি ও বিকাশ |
---|---|
লেখক | প্রফেসর মুঈন উদ-দীন আহমদ খান |
প্রকাশনী | একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লি: (এপিএল) |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |