চীন দেশের কল্পকথা
চৈনিক সভ্যতা বেশ প্রাচীন। আদিকাল থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় এখানে অঙ্কুরিত হয়েছে নানা নৈতিক তত্ত্ব ও দর্শন। শত শত বছরের পরিক্রমায় সেসবের মূলমন্ত্র তাদের জীবন-দর্শনে রূপ নিয়েছে। চৈনিক দর্শনগুলোতেও “শিষ্টের লালন দুষ্টের শাসন’ চর্চিত হয়েছে। ওই জনপদের বিজ্ঞজনেরাও কল্পকথা বা ফেলসের মাধ্যমে মানুষকে ‘শিক্ষিত’ করে তোলার চেষ্টা করেছেন। শত শত বছর ধরে চৈনিক সমাজে এ রকম ‘কল্পকথা’ প্রচলিত। তাদের সভ্যতার মতোই এসব প্রাচীন কল্পকথার জন্মও খ্রিস্টপূর্ব যুগে। ঈশপ বা লিওনার্দোর ফেবলসের মতোই চৈনিক কল্পকথায়ও জড় বস্তু এবং সজীব প্রাণের মধ্যে সমানভাবে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সেখানে সজীব মানুষ কিংবা পশু-পাখির সাথে জড় গাছপালা-পাহাড়-পর্বতের কথাবার্তা ও ভাব আদান-প্রদানে কোনোরূপ সমস্যা হয় না। সবাই যেন বড় একটি পরিবারের সদস্য। গল্পগুলো একদিকে যেমন নির্মল আনন্দের, অন্যদিকে শিক্ষণীয়। অর্থাৎ গল্পের ছলে জীবনের গভীর উপলব্ধির কথা এসব কল্পকথায় প্রধান হয়ে উঠেছে। এখানেই অন্য সব ফেবলসের মতো চৈনিক কল্পকথার সর্বজনীনতা। চীনের কল্পকথা বা ফেলসের বাংলায় অনুবাদ সম্ভবত এই প্রথম। প্রাঞ্জল ভাষায় অনূদিত খ্রিস্টপূর্ব যুগের শতাধিক চীনা কল্পকথার এই বইটি ছোট-বড় সব বয়সের পাঠককে আকৃষ্ট করবে।
বইয়ের নাম | চীন দেশের কল্পকথা |
---|---|
লেখক | মাসুদ খোন্দকার |
প্রকাশনী | কথাপ্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |