আইজ্যাক নিউটন
ম্যাজিককে ফিজিক্স, জ্যোতিষবিদ্যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও আলকেমিকে কেমিস্ট্রিতে পরিণত করতে স্যার আইজ্যাক নিউটন অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। নিউটনকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিজ্ঞান বিপ্লবে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। শৈশব খুব সুখের ছিল না নিউটনের, কিন্তু তা সত্ত্বেও কিশোরকাল থেকেই নিজের বিরল মেধা ও পা-িত্যের পরিচয় তিনি রাখতে পেরেছিলেন সর্বত্র। নিউটন তাঁর বিখ্যাত তিনটি আবিষ্কার : মহাকর্ষ সূত্র, সূর্যালোক বিশ্লেষণ ও ক্যালকুলাসের প্রাথমিক কাজ নিজের গ্রামের বাড়িতে বসে কারো সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ আপন গুণে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে পা দিয়েই। তিনি ইতিহাস রচনাতেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় তিনি নেমেছিলেন রাজনীতির কঠিন মঞ্চে। দুঁদে উকিলের ভূমিকায় হয়েছিলেন অবতীর্ণ। দক্ষ গোয়েন্দার ছদ্মবেশে সংগ্রহ করেছিলেন অপরাধীদের তথ্য। বিচিত্র প্রতিভার স্ফুরণ ঘটতে দেখা যায় নিউটনের জীবনে। চুরাশি বছরের দীর্ঘ জীবন তিনি লাভ করেছিলেন। শেষ বছর অব্দিও ছিলেন কর্মক্ষম। তাঁর সম্পর্কে পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য গ্রন্থ, প্রবন্ধ, থিসিস ইত্যাদি লেখা হয়েছে। অনেকে বুঝে কিংবা না বুঝে তাঁকে ছোট করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে অনেক অবাস্তব উপাখ্যানও তৈরি করা হয়েছে- প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে সেগুলো বলা হয় ও লেখা হয়। এইসব বিবেচনায় নিয়ে, বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিউটনকে সহজ ভাষায় এবং সাধারণ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে এই বইয়ে।
বইয়ের নাম | আইজ্যাক নিউটন |
---|---|
লেখক | বিধান চন্দ্র দাস |
প্রকাশনী | কথাপ্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |