সাতচল্লিশের দেশভাগ
সাতচল্লিশের দেশভাগ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। পলাশীর যুদ্ধের পরে এমন ঘটনা উপমহাদেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি। একে দুর্ঘটনাও বলা যায়। দুর্ঘটনা বলাটাই সঙ্গত। কারণ এতে এই উপমহাদেশের মানুষের, বিশেষভাবে বাংলা ও পাঞ্জাবের অধিবাসীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সম্ভব হবেও না। ওই দুর্ঘটনা নিয়ে তাই আলোচনা করা দরকার। কেবল অতীতকে বোঝার জন্য নয়, বর্তমানকে ব্যাখ্যা এবং ভবিষ্যতের পথানুসন্ধানের জন্যও।
এই বইয়ে বিশিষ্টজনেরা দেশভাগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। পটভূমি ও পরিণাম, উভয় বিবেচনাই এসেছে। আছে স্মৃতিকথা ও গবেষণা। যাঁরা লিখেছেন তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে, যেটা থাকা খুবই স্বাভাবিক, এবং থাকাটা প্রয়োজনীয়ও বটে; তবে তাঁরা সবাই সাতচল্লিশের দেশভাগের তাৎপর্যটিকে গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন, এবং ভেতরের তাগিদ থেকেই লিখেছেন।
এই সঙ্কলনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, এতে বিভক্ত বাংলার দুইপারের লেখকরাই উপস্থিত আছেন। যাকে একপেশে বলা হয় তেমন ঘটনা এখানে ঘটেনি।
বইয়ের সম্পাদক দুজন সঙ্কলনের কাজটি করেছেন বিচক্ষণতা, যত্ন ও পরিশ্রমের সঙ্গে। বইটি পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছে, বাংলাদেশেও হবে।
বইয়ের নাম | সাতচল্লিশের দেশভাগ |
---|---|
লেখক | দেবব্রত বিশ্বাস বুদ্ধদেব ঘোষ |
প্রকাশনী | কথাপ্রকাশ |
সংস্করণ | ২য় মুদ্রণ, ২০২১ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 646 |
ভাষা | বাংলা |