গিভ এন্ড টেক
গিভ এন্ড টেক বইটির অ নু বা দ কে র ক থা:
“নিচের হাত অপেক্ষা উপরের হাতই উত্তম” -আল হাদিস
মানুষ সামাজিক জীব। এককভাবে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই সে একাকী বাস করতে পারে না। জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে,সকলে মিলে ভালো থাকতে,মানুষকে একে অপরের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এই নির্ভরতার মাধ্যম হলো,নেওয়া এবং দেওয়া। এই লেনদেন বা নেওয়া এবং দেওয়া কেবলই উভয়পক্ষের লাভভিত্তিক হবে এমনও নয়। এটি স্বার্থহীন দাতব্য কর্ম বা দানও হতে পারে। আবার এটি বস্তুগত কোনোকিছু বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই কেবল সম্পন্ন হবে এমনটিও নয়। কথা, কাজ, পরামর্শ, সময় প্রদান, সেবা দান ইত্যাদি নানা প্রকারে এই লেনদেন সম্পন্ন হতে পারে।
এই লেনদেন দু’জন ব্যক্তির মধ্যে এককভাবে হতে পারে বা যৌথভাবে অনেক লোকের মধ্যেও হতে পারে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট হতে পারে,আবার স্বার্থহীনভাবেও হতে পারে। কেউ কেউ আত্মস্বার্থের ভাবনায় বিভোর হয়ে কেবলই গ্রহণকারী হতে পারে,কেউ আবার আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কেবলই একজন দাতা হয়ে উঠতে পারে। কেউ প্রকৃত দানকারী হতে পারে,কেউ আবার লোক দেখানো কপট দাতা সাজতে পারে। পৃথিবীতে ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক বা অর্থগত সাফল্য ব্যর্থতায় লেনদেনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। স্বার্থপর গ্রহণকারীরা এক্ষেত্রে সাফল্য সিঁড়ির শীর্ষে অবস্থান করতে পারে। আর যারা প্রতিদানে কিছু প্রত্যাশা না করে ধারাবাহিকভাবে অন্যকে সাহায্য করে যায়,এক সময় তারা সাফল্য সিঁড়ির নিচে পড়ে যেতে পারে। তবে প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু অভিযোজন সমন্বয় সাধনপূর্বক প্রয়োগ করতে পারলে তা একজন দাতাকেও সাফল্য সিঁড়ির শীর্ষে উঠে যেতে সাহায্য করতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন,তাতে মনঃসংযোগ ও শক্তি-সামর্থ্য প্রয়োগ,কোনো দাতার জীবনে একটি দৃশ্যমান পার্থক্য গড়ে দেয়,এবং সাফল্য একটি উপজাত হিসাবে তাকে অনুসরণ করতে থাকে।
উপর্যুক্ত আলোচনা অ্যাডাম গ্রান্টের বিখ্যাত গ্রন্থ “গিভ এন্ড টেক” এর ওপর একটি ক্ষীণ আলোকপাত মাত্র। এর আদ্যপান্ত জানতে পড়ুন একটি সাড়া জাগানো অনবদ্য গ্রন্থ “গিভ এন্ড টেক” এবং জেনে নিন নিজেকে সাফল্য সিঁড়ির শীর্ষে তুলে মহান মহৎ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবার বীজমন্ত্রটি।
- মজনু শাহ (অনুবাদক), হাড়োয়া, নীলফামারী।
বইয়ের নাম | গিভ এন্ড টেক |
---|---|
লেখক | অ্যাডাম গ্রান্ট |
প্রকাশনী | কলি প্রকাশনী |
সংস্করণ | প্রথম প্রকাশ, ২০২৪ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 256 |
ভাষা | বাংলা |