বাইশের বন্যা
সময় তখন রাত বারোটার কাছাকাছি। সারাদিন ধরে ৭৫০ বস্তা ত্রাণ বিতরণ করে, দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ফিরছি। দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে ত্রাণের বস্তায় হেলান দিয়ে ঝিমাচ্ছিলাম, কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ প্রিয়ত আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বললো যে, আমাদের পেছনে ডাকাত তাড়া করছে। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। প্রচণ্ড বুক কাঁপছে আমার। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখি চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝিকে ডেকে বললাম যে মামা পেছনে টর্চ জ্বালান। টর্চের আলোয় দেখলাম মাঝবয়সী অনেকগুলো লোক ট্রলারের মধ্যে বাঁশ, ধারালো দা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আমার বুঝতে বাকি রইলো না ট্রলারগুলো যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে বড়জোড় আর দশ মিনিট সময় লাগবে আমাদের ট্রলারটা ধরতে। আমি সেনাবাহিনীকে অনবরত ফোন করতে থাকলাম কিন্তু কোন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। হঠাৎ মাঝি আমাদের ডেকে বললো, আপনেরা একটা পলিথিনের মধ্যে আপনেগো মোবাইল আর টাকা-পয়সা একসাথে কইরা রাইখা দেন; নাইলে আইজ আর কেউ বাঁইচা ফিরতে পারবেন না!
বইয়ের নাম | বাইশের বন্যা |
---|---|
লেখক | তাসরিফ খান |
প্রকাশনী | কিংবদন্তী পাবলিকেশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |