দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর
এই বইয়ের উদ্দেশ্য হল বিনিয়োগের পলিসিকে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে সরবরাহ করা। নিরাপত্তা, সুরক্ষিত করার ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে অল্পই এখানে বলা হয়েছে; মূলত: জোর দেয়া হয়েছে বিনিয়োগের নীতিমালা ও বিনিয়োগকারীর আচরণের উপর। সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার কিছু তুলনামূলক লিস্ট এখানে দেয়া হয়েছে- নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টের পাশাপাশি- যাতে কমন স্টক বাছাইয়ের জন্য জরুরী উপাদানগুলোতে দক্ষতা জন্মে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক মার্কেটের ঐতিহাসিক প্যাটার্ণ নিয়ে আলোচনা করব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক শতাব্দী পিছন ফিরেও দেখব। বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে বেশ ভালোভাবে জানতে হবে যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বন্ড ও স্টকগুলো কি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ওয়াল স্ট্রীটের ক্ষেত্রে সামতায়ানার সেই বিখ্যাত সতর্কবাণীর চেয়ে বেশি সত্য বক্তব্য ও অধিকতর প্রযোজ্য বাণী আর কিছু নেই- “যারা অতীত ভুলে যায়, তারা এর পুনরাবৃত্তি করে।”
আমাদের এই বইটি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আর আমাদের প্রথম কাজ হল কোনরকম পার্থক্য না রেখে এই বিষয়ে স্পষ্টতা ও জোর প্রদান করা। শুরুতে আমরা একথা বলতে চাই যে বইটি ‘এক মিলিয়ন টাকা বানানোর’ বই নয়। ওয়াল স্ট্রীট বা অন্য কোথাও ধনী হওয়ার নিশ্চিত ও সহজ কোন পথ নেই। এইমাত্র যা বললাম, তার সপক্ষে সামান্য অর্থনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা যায়, বিশেষত: তখনদার সময়ের যখন একের অধিক নৈতিকতা এতে খুঁজে পাওয়া যেত।
অনেক আগে থেকে এই মতবাদ প্রচলিত আছে যে সফল বিনিয়োগের কৌশল নিহিত থাকে প্রথমত: যেসব ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত উজ্জ্বল, সেগুলো বেছে নেয়ার উপর এবং এরপর সেইসব ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীল কোম্পানীগুলো চিহ্নিত করার উপর। যেমন- স্মার্ট বিনিয়োগকারী বা তাদের স্মার্ট উপদেষ্টারা সর্বোপরি ও বিশেষত: ইন্টারন্যাশনাল বিজন্যাস মেশিনে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির বিশাল সম্ভাবনা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল। একইভাবে অন্যান্য বর্ধনশীল ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানীগুলোর ব্যাপারেও। তবে এটি সবসময় অতীতের পর্যবেক্ষণের মত সহজ হয় না। এই পয়েন্টকে পুরোপুরি বুঝার জন্য নীচে একটি প্যারাগ্রাফ দেয়া হল যেটি ১৯৪৯ সালের সংস্করণে প্রথম দেয়া হয়েছিল।
বইয়ের নাম | দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর |
---|---|
লেখক | বেঞ্জামিন গ্রাহাম |
প্রকাশনী | চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা |