গল্প শোনো আউযুবিল্লাহর
আজ আকাশে রুপার থালার মতো চাঁদ উঠেছে। জোছনা গলে গলে পড়ছে। ফকফক করছে গোটা পৃথিবী। চারদিকে বইছে খুশির জোয়ার। কেনো? আমাদের নবীজির জন্ম হয়েছে। তিনি এসেছেন সোনালি ঊষায় রঙ মেখে। সোনার মুকুট মাথায় নিয়ে।
তবে খুশি হতে পারেনি শয়তান। সে আসছে রকেট গতিতে। উদ্দেশ্য তার খারাপ। মতি-গতি ভালো নয়। সে আমাদের পেয়ারা নবীজিকে গুঁতো দিতে চায়! কত্তো বড়ো সাহস জালিমটার! তাকে থামতে হবে। নাহ্, তাকে থামিয়ে দেওয়া হবে।
আল্লাহ তাআলা জানেন, কী হচ্ছে পৃথিবীতে। শয়তানটাকেও শায়েস্তা করা দরকার। ব্যস, অনেক হয়েছে। তাকে তো আর সুযোগ দেওয়া যায় না। আর ছাড় নয়। এক্ষুনি তার দফারফা করতে হবে। পাগলা ঘোড়াটা থামাতে হবে। শয়তানকে ফুটবলের মতো লাথি দেওয়া হলো। ছিটকে পড়লো ওই মালাউন। জানো বন্ধু, কে তাকে লাথি দিলো?
কোথায় গিয়ে ছিটকে পড়লো শয়তানটা?
একবার যে শয়তানের সঙ্গে আমাদের পেয়ারা নবীজির লড়াই হয়েছে, বিষয়টি কি তোমার জানা আছে?
বন্ধু! তুমি কি শয়তানের চালবাজি ধরতে পারো? কোথায় শয়তানের সিংহাসন? কী করে সে ওখানে বসে বসে? আর তাকে কেনোই-বা রজীম বলা হয়?
রাতে গলির শেষ মাথায় কুকুরগুলো কেনো ‘ঘেউ ঘেউ’ করে? কাকে দেখে ‘ঘেউ ঘেউ’ চিৎকারে কাঁপিয়ে তোলে চারপাশ? আযান শুনে কে পালাতে থাকে, জানতে চাও?
শয়তানটা আসবে তুমি নামাযে দাঁড়ালে। সে আসবে তুমি কুরআন তিলাওয়াত শুরু করলে। সে আসবে তুমি ঘুমালে।
বাঁচতে চাও ওই মালাউন থেকে? তাহলে তোমাকে পড়তে হবে, পড়তেই হবে গল্প শোনো আউযুবিল্লাহর।
বইয়ের নাম | গল্প শোনো আউযুবিল্লাহর |
---|---|
লেখক | মুফতী মুহাম্মাদুল্লাহ |
প্রকাশনী | হামদান প্রকাশন |
সংস্করণ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | |
ভাষা | বাংলা |